• facebook
  • twitter
Saturday, 10 May, 2025

উদ্ধার হল তলিয়ে যাওয়া দুই ছাত্রের দেহ

আমার ওয়ার্ডের দুটি ছেলে জলে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায়। প্রশাসনের তরফ থেকে যাবতীয় সাহায্য করা হয়েছে । সিভিল ডিফেন্স থেকেও ডুবুরিরা এসেছিল।

প্রতীকী চিত্র

অবৈধ মোরাম খাদানের জমে থাকা জলে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছিল খড়্গপুরের ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্থানীয় হিতকারিণী হাইস্কুলের দুই ছাত্র আকাশ সিং চৌহান এবং সঞ্জীব রাও। প্রায় ৪৫ ঘন্টা পর ওই জলাশয় থেকে তাদের দেহ উদ্ধার করল ডুবুরিরা। উদ্ধারের পর পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় চার বন্ধু খড়গপুর ১ নং ব্লকের গোপালী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কেশিয়াসোলে অবৈধ মোরাম খাদানের জমে থাকা জলে স্নান করার জন্য নামে। দুই বন্ধু আকাশ এবং সঞ্জীব তলিয়ে যায়। দু’দিন ধরে অনুসন্ধান চালিয়েও তাদের দেহ উদ্ধার করা যায়নি। শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ রামজীবনপুর থেকে আসা ডুবুরিরা দেহ উদ্ধার করে।

এদিকে অবৈধ মোরাম খাদান নিয়ে সরব হয়েছেন বাম নেতা অনিল দাস। তিনি বলেন, প্রশাসনের কোনও অনুমতি না নিয়েই এই অবৈধ মোরামখাদান করা হয়েছে। সমস্ত নিয়ম নীতি বিসর্জন দিয়ে ৫০-৬০ ফুট গভীর খাদানে জমে থাকা জল দুটি ছাত্রের জীবন কেড়ে নিল, এর দায় কে নেবে। এই গভীর জলাশয়কে ঘিরে কোন ফেন্সিং -এর ব্যবস্থা করা হয়নি। কোনও বিপদ বার্তাও বোর্ডে টাঙানো হয়নি। শুনেছি রেলের কাজের জন্য এই মোরাম খাদান করা হয়েছিল। কিন্তু এলাকাটা পঞ্চায়েতভুক্ত‌ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূমিকাও সন্দেহজনক।

১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর টি নাগেশ্বর রাও বলেন, আমার ওয়ার্ডের দুটি ছেলে জলে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায়। প্রশাসনের তরফ থেকে যাবতীয় সাহায্য করা হয়েছে । সিভিল ডিফেন্স থেকেও ডুবুরিরা এসেছিল। কিন্তু তারা দেহ উদ্ধার করতে পারেনি । পরে ঘাটালের রামজীবনপুর থেকে প্রাইভেট ডুবুরি নিয়ে আসা হয়। তারা আজ দুপুর দেড়টা নাগাদ দেহ উদ্ধার করে।