সম্প্রতি প্রাচীন কলা কেন্দ্র আয়োজিত ‘শুভ সঙ্গীত সঞ্চার’ এর তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হল বারাসাতের বিদ্যাসাগর মঞ্চে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শ্রী অনুপ ঘোষ ও প্রাচীন কলা কেন্দ্রের সম্পাদক শ্রী সজল কোসার। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রাচীন কলা কেন্দ্রের দুই প্রবীণ সেন্টার হোল্ডার শ্রী নরেশ ঘোষাল ও শ্রী প্রদীপ মজুমদারকে সম্বর্ধdনা জানানো হয়। দীর্ঘ চার দশকের নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারক ও নগদ অর্থ।
এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুরুতেই সঙ্গীত পরিবেশন করেন পন্ডিত তুষার দত্ত। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এই স্বনামধন্য শিল্পীর উপস্থাপনা মন্ত্রমুগ্ধ করে হল হলভর্তি দর্শক ও শ্রোতাদের। তার সুরের আবেশ যেন ছড়িয়ে পড়ছিলো হলের বাইরেও। পন্ডিত তুষার দত্তের অনবদ্য পরিবেশনার রেশ কাটতে না কাটতেই মঞ্চে হাজির একক তবলার ডালি নিয়ে ষোলো বছরের রাজদীপ দেব। সুর ও তালের উপর কিশোর রাজদীপের নিয়ন্ত্রণ অবাক করে বিদ্যাসাগর মঞ্চে উপস্থিত দর্শক ও শ্রোতাদের। যেন ‘আগামীর তারকা’ -র আগমনী বার্তা দিয়ে গেলো আজকের এই অনুষ্ঠান। এরপর সঙ্গীত পরিবেশন করেন শ্রীমতি চন্দনা চক্রবর্তী।
এরপর সমবেত রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশনা করেন রবিশিখার ছাত্র-ছাত্রীরা। সুপরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত এই অনুষ্ঠানটির সঙ্গীত আয়োজন ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শ্রী মানব দাস। সলিল চৌধুরীর জন্ম শতবার্ষিকীকে মাথায় রেখে বাচিক শিল্পী শ্রী অভিজিত সেনগুপ্তের পরিচালনায় মধুভাষের ছাত্র-ছাত্রীরা পরিবেশন করেন সুকান্ত ভট্টাচার্য্য ও সলিল চৌধুরীর অনবদ্য কোলাজ। অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে ভরতনট্যম পরিবেশন করেন শ্রী পার্থ সারথি দেবনাথ এবং কথক নৃত্য পরিবেশন করেন শ্রীমতি অপর্ণা চক্রবর্তী।



