শাহরুখ খানের স্ত্রী গৌরী খানের রেস্তোরাঁ নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিলেন এক ফুড ব্লগার। আর সেই গুজবের ফল হল উল্টো। ব্যবসায়ে মিলল অভূতপূর্ব চমক। ব্যবসায়ে বদনামের বদলে শাপে বর হয়ে বিক্রি গেল বেড়ে।
জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে এক খ্যাতনামা ফুড ব্লগার গুজব ছড়িয়েছিলেন, গৌরীর রেস্তোরাঁয় বিক্রি হচ্ছে ভেজাল খাবার। ওই নেটপ্রভাবী অভিযোগ তোলেন, সেখানে নকল পনীর দেওয়া হচ্ছে। এই গুজব ছড়িয়ে পড়তেই প্রথমে ব্যবসায়ে প্রভাব পড়লেও পরে গৌরীর এক সহকারী পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন। এর পরই শাপে বর হয়ে ব্যবসায়ের শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে বলে দাবি করেছেন রেস্তরাঁর রন্ধন শিল্পী।
প্রসঙ্গত গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকায় নিজের রেস্তরাঁ খোলেন গৌরী খান। আর নেটপ্রভাবী সার্থক সচদেব বরাবরই খ্যাতনামী তারকাদের রেস্তরাঁগুলিতে গিয়ে সেখানকার খাবারের মান নিয়ে রিভিউ দিয়েছিলেন। এর আগে বিরাট কোহলি, ববি দেওল, শিল্পা শেট্টি— প্রত্যেকেই ওই রেস্তরাঁয় গিয়ে সেখানকার পনীরের মানের ইতিবাচক রিভিউ দিয়েছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই তারকা। কিন্তু বিপত্তি ঘটল গৌরীর রেস্তরাঁয়। সেখানে পরিবেশিত পনীরের মান দেখে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ! গৌরীর রেস্তরাঁয় পরিবেশিত পনীর আয়োডিন পরীক্ষায় ফেল করেছে। যার ফলে সাদা পনীর পুরো কালো হয়ে গিয়েছে।
ওই ফুডব্লগারকে বলতে শোনা যায়, শাহরুখ খানের রেস্তরাঁয় নকল পনীর পরিবেশন করা হয়। দেখে তো আমি হতবাক হয়ে গেলাম!” এর পরই ভাইরাল হতে শুরু করে এই ভিডিয়ো। চাপে পড়ে মুখ খুলতে হয় ‘তরী’ নামের ওই রেস্তরাঁকে। রেস্তোরাঁর তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘‘আয়োডিন পরীক্ষা পনীরের শুদ্ধতা নয়, বরং স্টার্চের উপস্থিতি যাচাই করে। যেহেতু আমাদের খাবারটিতে সয়া-ভিত্তিক উপাদান রয়েছে, তাই এই প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিত। আমরা আমাদের পনীরের বিশুদ্ধতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই।”
এরপরই রেস্তরাঁর ব্যবসা বাড়তে শুরু করে। প্রতিক্রিয়ায় ‘তরী’র রন্ধনশিল্পী বলেন, ‘‘আমরা যখন ভিত্তিহীন কোনও কিছুর দিকে আঙুল তুলি, তখন তার প্রভাব পড়ে। আমরা যে মান, উপকরণ, যা কিছু সরবরাহ করি, তা সবই উন্নতমানের; আমাদের চিন্তার কিছু নেই। আমরা ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং রন্ধন জগতে কীভাবে কাজ করা হয় এবং খাদ্য বিজ্ঞান কীভাবে কাজ করে, তা বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তিনি বুঝতে পারেন এবং পোস্টটি সরিয়ে নেন। আমরা বিশ্বাস করি, সকলে খুবই বুদ্ধিমান। যা ঘটছে, কেন হয়েছে সহজেই বুঝতে পেরেছেন। পাশাপাশি আমাদের রেস্তরাঁর ব্যবসা বেড়েছে এবং অনুসরণকারীর সংখ্যাও বেড়েছে।”