• facebook
  • twitter
Thursday, 18 December, 2025

গুণেই সেরা অনুপ কুমার 

রথীন কুমার চন্দ কয়েকদিন আগেই গেল অভিনেতা সত্যেন দাস ওরফে অনুপ কুমারের জন্মদিন৷ অনুপ কুমারের মতো এত বড় মাপের ভার্সেটাইল এক অভিনেতার জন্মদিন সিনেমা জগতে সেই ভাবে উৎযাপন না হলেও  তাঁর গুণগ্রহিতার অভাব নেই গোটা ভারতে৷ সে বসন্ত বিলাপ হোক বা মৌচাক বা দাদার কীর্তি তাঁকে ছাড়া গোটা সিনেমাটাই যে জৌলুসহীন তা একবাক্যে স্বীকার করেছিলেন

রথীন কুমার চন্দ
কয়েকদিন আগেই গেল অভিনেতা সত্যেন দাস ওরফে অনুপ কুমারের জন্মদিন৷ অনুপ কুমারের মতো এত বড় মাপের ভার্সেটাইল এক অভিনেতার জন্মদিন সিনেমা জগতে সেই ভাবে উৎযাপন না হলেও  তাঁর গুণগ্রহিতার অভাব নেই গোটা ভারতে৷ সে বসন্ত বিলাপ হোক বা মৌচাক বা দাদার কীর্তি তাঁকে ছাড়া গোটা সিনেমাটাই যে জৌলুসহীন তা একবাক্যে স্বীকার করেছিলেন এই সিনেমাগুলির নির্মাতা থেকে দর্শক সকলেই৷
অনুপ কুমার ওরফে সত্যেন দাস, বাংলা সিনেমার প্রখ্যাত কৌতুক অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম নাম৷ সেলুলয়েড পর্দার পোশাকি নাম অনুপ কুমার, বাস্তবে ও সাংসারিক জীবনে সত্যেন দাস নামে পরিচিত ছিলেন, তবে বাস্তব নাম সিনেমার পর্দায় নামকরণের আড়ালে হারিয়ে বা ভুলতে বসেছিল সবাই, শুধুমাত্র সত্যেন দাসকে তার পরিচিতজনেরা খুঁজে পেতেন অনুপ কুমারের অভিনয়ের মধ্যে৷
অনুপ কুমার ৩০০র উপর বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেন৷ তার বাবা ধীরেন্দ্রনাথ দাস ছিলেন একাধারে গায়ক ও নায়ক৷ অনুপ কুমার ১৭ই জুন ১৯৩০ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন৷ তার বাবা ধীরেন্দ্রনাথ দাসের সাথে অন্তরঙ্গতা ছিল কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বিজয়া দাসের সাথে৷ অনুপ কুমার অভিনয় জীবনের হাতেখড়ি শিশির কুমার ভাদুড়ী ও তাঁর বাবার কাছে৷
অনুপ কুমার খুদে অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেছেন ধীরেন গাঙ্গুলীর হালখাতায় (১৯৩৮ সালে)৷ তার অভিনয় জীবন অনেক খুদে বয়স থেকে সুচনা ঘটে, পলাতক ও নিমন্ত্রণ সিনেমায় অভিনয় দক্ষতা ফুটে ওঠে৷ পলাতক সিনেমার জন্য তিনি ১৯৬৪ সালে বিএফজে এওয়ার্ডে সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কৃত হন৷
বসন্ত বিলাপ, মৌচাক, দাদার কীর্তি সিনেমায় তার কৌতুক অভিনয় বিশেষ নজর কেড়েছিল সমস্ত দর্শকের, যখন রবি ঘোষ, জহর রায়, নবদ্বীপ হালদারের মত নামজাদা অভিনেতাদের পাশাপাশি অভিনয় করেন৷
১৯৮৮ সালে স্টার থিয়েটার থেকে রৌপ্য পদকে ভূষিত হন৷ অভিনয়ে অনন্য ছাপ রাখার জন্য ১৯৮৯ সালে নাট্য একাডেমি পুরস্কার পান, ১৯৯১ সালে শিরোমণি পুরস্কার ও যাত্রায় সেরা নির্দেশকের পুরস্কার পেয়েছিলেন ১৯৯৭ সালে৷
রবি ঘোষের পরলোকগমনের পর জটায়ু চরিত্রের পরিস্ফুটন তার অসাধারন অভিনয় ক্ষ্মতায় জীবন্ত হয়ে ওঠে৷
দাদার কীর্তিতে তার কৌতুক অভিনয় দর্শকদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে৷
তার অভিনীত সিনেমাগুলি হল ‘পিতা পুত্র’, বালুচরি, দাদু, নিশি পদ্ম, রাগ অনুরাগ, বাবা তারকনাথ প্রভৃতি৷

Advertisement

Advertisement