• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

টেলিভিশনের মানবিক ভূমিকা আরও জোরদার হোক, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

টেলিপাড়ার শিল্পী, প্রযুক্তিবিদ, পরিচালক, লেখক— সকলেই দিনরাত এক করে কাজ করেন, তাঁরা উৎসবেও ছুটি পান না। তাই তাঁদের পরিশ্রমকে আরও সম্মান করে আরও দায়িত্বশীল বিষয়বস্তু সৃষ্টির আহ্বান জানান তিনি।

নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিনিধি— টেলিভিশনের মাধ্যমে কীভাবে সামাজিক চেতনাকে আরও বৃদ্ধি করা যায়, সেই প্রশ্নেই ছোট পর্দার শিল্পী–কলাকুশলীদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আয়োজনে ‘ধন ধান্য’ প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হল টেলি অ্যাকাডেমি পুরস্কারের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাবনার কথা তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, এদিনের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সম্মানিত হলেন বাংলা টেলিভিশনের ধারাবাহিক জগতের সামনে ও পিছনের সারির কর্মীরা। আর সেখানেই সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, টেলিভিশনের সবচেয়ে বড় শক্তি তার মানবিকতা ও সামাজিক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা। তাঁর কথায়, ‘টেলিভিশন চ্যানেলের সবথেকে বড় দিক হোক মানবিক, সামাজিক চেতনা, সুশিক্ষা বৃদ্ধি। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের কাছে ইতিহাস হয়তো ঠিকভাবে পৌঁছচ্ছে না। টেলিভিশনের মাধ্যমেই কখনও কখনও সামাজিক চেতনা বৃদ্ধি করতে হবে।’

Advertisement

ধারাবাহিককে সমাজের দর্পণ বলেই বহুবার ব্যাখ্যা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগেও সিরিয়ালের চিত্রনাট্য থেকে অতিরিক্ত কূটকচালি, বহুবিবাহ বা অবাঞ্ছিত প্লট বর্জনের পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এদিনও শিল্পীদের স্মরণ করিয়ে দিলেন বাংলার ঐতিহ্য, নবজাগরণ, স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় পথচলার কথা। তাঁর মন্তব্য, ‘আমাদের এই মাটিই স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে। নবজাগরণের জন্ম দিয়েছে, এই মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। সেই মাটির গল্পই সিরিয়ালের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছোক।’

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, টেলিপাড়ার শিল্পী, প্রযুক্তিবিদ, পরিচালক, লেখক— সকলেই দিনরাত এক করে কাজ করেন, তাঁরা উৎসবেও ছুটি পান না। তাই তাঁদের পরিশ্রমকে আরও সম্মান করে আরও দায়িত্বশীল বিষয়বস্তু সৃষ্টির আহ্বান জানান তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি নিজেও সময় পেলে ধারাবাহিক দেখেন। গল্পের মোচড় কোথায় যাবে, তা আন্দাজ করতেও পারেন বলে মঞ্চে হাস্যরস মেশানো মন্তব্য করেন। তাঁর মতে, দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখতে গল্পে আকর্ষণ থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেই আকর্ষণ যেন কোনওভাবেই সমাজবিরুদ্ধ বার্তা না দেয়।

এদিন মঞ্চে পুরস্কৃত শিল্পীরা মুখ্যমন্ত্রীর এই আহ্বানকে স্বাগত জানান। তাঁদের মতে, সাধারণ মানুষের জীবনে টেলিভিশন শুধু বিনোদন নয়, এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার ক্ষেত্রও বটে।

Advertisement