• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

উত্তম কুমার-এর জন্মশতবর্ষে বাড়ির লক্ষ্মী পুজো ৭৫

পরিবারের সকলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চ্যাটার্জী ও নাতবৌ দেবলীনা কুমার, নাতনি নবমীতা, মৌমিতা।

গিরিশ মুখার্জী রোডের উত্তম কুমারের বাড়ির পুজো ৭৫ বছর পূর্ণ করল। তৃতীয় প্রজন্মের হাতে এখন এই পুজো। পরিবারের সকলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চ্যাটার্জী ও নাতবৌ দেবলীনা কুমার, নাতনি নবমীতা, মৌমিতা।

বাঙালির ম্যাটিনি আইডল তিনি। বাংলা সিনেমা যতদিন বাঁচবে, ততদিন তিনি থাকবেন বাঙালির মনের মণিকোঠায়। তার হাত ধরেই গিরিশ মুখার্জী রোডের এই বাড়িতে শুরু হয়েছিল লক্ষ্মী পুজো। ধুমধাম করে এই পুজোর আয়োজন করেছিলেন তিনি।লক্ষ্মী পুজো মানে সেখানে ঢাকঢোল বাজবে। মহা ধুমধামের সঙ্গে তা পালন করা হবে। এই ছিল তাঁর পুজোর রীতি রেওয়াজ।

Advertisement

আর ৭৪ বছর ধরে এই পুজোর মায়ের মুখ অর্থাৎ মা লক্ষ্মীর মুখ তৈরি হয়ে আসছে উত্তমকুমারের স্ত্রী গৌরী দেবীর মুখের আদলে। এক সময় এই পুজোতে উত্তমকুমার নিজে রাত জাগতেন। সারারাত ধরে দেখা হত নানা সিনেমা, গান-বাজনা, সমস্ত কিছু হত এই পুজোকে ঘিরে। বাড়ির সকলে প্রতীক্ষা করে থাকতেন দুর্গাপুজোর পরে তাদের এই বাড়ির পুজো।  তাই দুর্গাপুজো চলে গেলে মন খারাপ নয়, তাঁদের কাছে আরও বেশি আনন্দ হবে, তাঁদের বাড়িতেমা লক্ষ্মী আসবেন।

Advertisement

ইন্ডাস্ট্রির যে কোনও মানুষ এই পুজো দেখার জন্য একবার আসতেন উত্তম কুমারের বাড়িতে। শুধু তাঁকে একবার চোখের দেখা দেখার জন্য ওই পুজোতে ভক্ত সমাগম কম ছিল না। একবার শুধু গুরু বলে তাঁকে ডাকা যাবে  সামনে থেকে দেখা যাবে। আর তিনি মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটু হাত  নাড়বেন তাঁদের উদ্দেশ্যে।

আজ তাঁরা কেউ নেই, কিন্তু পরম্পরার হাত ধরে পুজো হয়ে আসছে এবং সেই চিরাচরিত প্রথা মেনে। এবারের এই পুজোর ব্যাটন হাতে নিয়েছেন তৃতীয় প্রজন্ম। অর্থাৎ উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়। লক্ষ্মীর ঘট পাতা থেকে শুরু করে জোগাড়-যন্ত্র, সবকিছু শিখে নিচ্ছেন পূর্বসূরীদের হাত ধরে নাতবৌ দেবলীনা কুমার। পরিবারের সবাই একজোট হয়ে ধুমধামের সঙ্গেই পালিত হল এই পুজো। বর্তমান ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা-অভিনেত্রীরা আসেন এই বাড়ীর পুজো দেখতে।

Advertisement