৬ থেকে ৬০ — – সকলেই যার এক মুখ হাসির দিওয়ানা সেই গোবিন্দার বলিউড ইন্ড্রাস্ট্রিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াইটা যে একেবারেই সহজ ছিল তেমনটা নয় তাঁর ৫৮ তম জন্মদিনে বলিউডের সেলফমেড অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানাই।
সালটা ১৯৮০, বলিউডে সবে মাত্র মুখ চেনা হয়েছেন, তবে কেউকেটা কারুর চোখে পড়েননি। দুটো ছবিতে অভিনয় করে ফেললেও সেগুলো তেমন নজর কাড়তে পারেনি। শুরুর দিকে সহ-অভিনেতা হিসেবে গোবিন্দাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।
Advertisement
কখনও দিলীপ কুমার, কখনো ধর্মেন্দ্র, আবার কখনো রাজেশ খান্নার সঙ্গে বিগ হিট সিনেমাগুলোয় স্ক্রিন শেয়ার করতেন। গোবিন্দা অস্বচ্ছলতা কি জিনিষ নিজের জীবনে দেখেছেন, তাই অতীতে যাতে ফিরে যেতে না হয়, তাই দুটো সিনেমা পরও করার টেলিভিশনে অভিনয় করার কথা ভেবেছিলেন।
Advertisement
১৯৮৮ সালে টেলিভিশনে। মহাভারত সিরিয়ালে ‘অভিমণ্যু’ চরিত্রের জন্য অডিশনও দিয়েছিলেন। ওই সময়ে মামা আনন্দ আহুজা ‘তন-বদন’ ছবি পরিচালনা করেন।
ওই ছবিতে অভিনেত্রী খুশবু’র বিপরীতে গোবিন্দকে দেখেছিল ভারতবাসী। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি, ছ’বছরের মধ্যে ৫০ টা ছবিতে অভিনয় করে বলি পাড়ায় নিজের জায়গা করে নেন।
উল্লেখ্য, ‘শোলা অউর শবনম’ ছবি হিট হওয়ার পর গোবিন্দার কাছে আরও অফার আসতে শুরু করে। পরিচালক ডেভিড ধাওয়ানের সঙ্গে গোবিন্দার জুটি সর্বকালের সেরা কমেডি ও সুপারহিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।
ওই জুটির উল্লেখযোগ্য ছবি গুলি হল, রাজা বাবু, হিরো নম্বর ওয়ান, হদ কর দি আপনে, বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা, কুলি নম্বর ওয়ান সহ এক ডজনেরও বেশি ছবি, যা নব্বইয়ের দশককে বলি পাড়ায় একটা নির্দিষ্ট পরিচিতি দিয়েছে।
মনে রাখার মতে গান ও তার সঙ্গে নিজস্ব নৃত্যশৈলী গোবিন্দাকে সকলের মধ্যে আলাদা করে রেখেছে। তবে রিয়েল লাইফে গোবিন্দার সঙ্গে রিল লাইফের গোবিন্দার কোনও মিল নেই।
শান্ত স্বভাবের হাসিখুশি মেজাজের গোবিন্দা কেরিয়ার শুরুর সময় থেকেই ক্যামেরা সামনে চরিত্রের মধ্যে নিজেকে মেলে ধরতেন। আর তাঁর নৃত্যশৈলী-বলি পাড়ায় আজও তাঁর মতো ড্যান্সার দুষ্পাপ্র্য।
যদিও গোবিন্দা বলেন, ‘আমার নাচ নিয়ে সকলে এত মশগুল কিন্তু আমি যে নাচ করি ওটা আসলে কোনও নাচ নয়। দর্শকরা বলেন গোবিন্দা যখন নাচে তখন মনে হয় না যে আমি নাচছি। আমি নিজেই আশ্চর্য হই কিভাবে আমি এগুলো করি’।
Advertisement



