দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি টানলেন সুরকার ও গায়ক এআর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু। মঙ্গলবার রাতে এই খবর প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রহমানের দলের বেসিস্ট (গিটার বাদক) মোহিনী দে-ও নিজের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন। সঙ্গীত পরিচালক স্বামী মার্ক হার্টসাচের সঙ্গে একটি যৌথ পোস্ট ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন মোহিনী। পর পর এই দুটি বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তাহলে কি মোহিনীর জন্যই ঘর ভাঙল এআর রহমানের ? কিন্তু সব জল্পনায় জল ঢাললেন রহমান ও সায়রা বানুর আইনজীবী। তাঁর দাবি এই দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণই কাকতালীয়।
মঙ্গলবার রাতে রহমানের বিবাহবিচ্ছেদের খবর প্রথম প্রকাশ্যে আনেন স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ। তিনি জানান, দীর্ঘ তিক্ততা এই বিচ্ছেদের নেপথ্য কারণ। উভয় পক্ষই আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন মিটিয়ে নিতে। কিন্তু তা আর সম্ভব নয়। পরে বিচ্ছেদের খবরে সিলমোহর দেন এআর রহমান নিজেও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, আমরা ভেবেছিলাম ৩০ বছর অতিক্রম করবে। কিন্তু এভাবে শেষ হওয়ার কথা আমরা ভাবতেও পারিনি।
Advertisement
এআর রহমানের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একটি দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মোহিনী ও তাঁর স্বামী মার্ক জানান, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত একতরফা নয়। দুজনে মিলেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিবাহবিচ্ছেদ হলেও তাঁরা একসঙ্গে কাজ করবেন বলে জানান মোহিনী এবং মার্ক। তাঁরা দুজনে একসঙ্গে মামোগি ও মোহিনী দে’র গ্রুপগুলির বিভিন্ন প্রজেক্টে একসঙ্গে পারফর্ম করবেন।
Advertisement
রহমানের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মোহিনী নিজের বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করায় অনুরাগীদের মনে জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে আইনজীবী বন্দনা শাহ জানান, এই দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। উল্লেখ্য, ২৯ বছর বয়সি মোহিনী এআর রহমানের সঙ্গে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪০টির বেশি অনুষ্ঠানে কাজ করেছেন। তাঁর প্রথম অ্যালবাম মুক্তি পায় ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে।
Advertisement



