২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে বাংলার ২ কোটিরও বেশি মহিলা এই প্রকল্পে মাসিক সহায়তা পাচ্ছেন। আর এবার গ্রামের দুর্গা মন্দির নির্মাণের জন্য বাঁকুড়ার কেশাতড়ার মহিলারা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর একমাসের টাকা দান করলেন।
বাঁকুড়া জেলার তালড্যাংরার কেশাতড়া গ্রাম কৃষিনির্ভর। সারা বছর অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে গ্রামবাসীরা দুর্গা পুজো শুরু করেন। পরে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে তৈরি হয় একটি ছোট মন্দির। সেই মন্দির বড় করা উদ্যোগ নেন এলাকার বাসিন্দারা। সেই সময় এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এগিয়ে আসেন গ্রামের মহিলারা।
Advertisement
গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে দেড় লক্ষ টাকার বেশি সংগ্রহ করেছেন মহিলারা। শুক্রবার উদ্বোধন হবে সেই মন্দিরের। বুধবার বিকেলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত সেই টাকা মহিলারা তুলে দেন কেশাতড়া গ্রামের পুজোর সম্পাদক নিত্যানন্দ পতির হাতে। এখন অপেক্ষা মন্দিরের দরজা খোলার।
Advertisement
অন্যদিকে, জঙ্গলমহলের বিনপুর-২ ব্লকের আশাকাঁথি গ্রামের মহিলারা এবারও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাতেই দুর্গাপুজো করছেন। গত কয়েক বছর ধরেই তাঁরা এভাবেই পুজো করে আসছেন। এই পুজোর চাঁদা আদায় থেকে মণ্ডপ সাজানোর সমস্ত বিষয়টি পরিচালনা করেন মহিলারাই।
তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ধুরপা গ্রামের মহিলারাও ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর টাকায় দুর্গাপুজো করছেন। চলতি বছর এই পুজো তৃতীয় বছরে পা দিল। বর্তমানে এই পুজো কমিটির সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০০ জন। পুজো কমিটি জানিয়েছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাই সব দুশ্চিন্তার অবসান ঘটিয়েছে। গ্রামের মহিলারা এক মাসের অনুদান পুজোর জন্য দান করেন।
Advertisement



