আগামী ১২ ও ১৩ জানুয়ারি সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলনের অভ্যর্থনা সমিতি গঠন নিয়ে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয় খড়্গপুরের অন্ধ্র হাইস্কুলে। এই উপলক্ষে বক্তব্য রাখেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন বজায় রেখে নবান্নে যাওয়া প্রসঙ্গে সুজনবাবু বলেন, জুনিয়র ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে বরাবরই সাড়া দিয়েছেন । এবারও সাড়া দেবেন এবং আগামীকাল বৈঠকে যাবেন জানিয়ে দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন অনশন তুলে যেতে হবে। যেন মুখ্যমন্ত্রী ওদের শর্ত দিচ্ছেন। ডাক্তাররা যথার্থই বলেছেন আমরা বৈঠকে যাবো কিন্তু অনশন তুলে কখনোই যাবো না। যদি বৈঠকে গিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা বোঝে সরকারের মনোভাব সদর্থক তাহলে দাবি মেনে অনশন তুলে নেবে। আমার মনে হয় ডাক্তারদের মনোভাব যথার্থ। স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণের দাবি প্রসঙ্গে সুজনবাবু বলেন, ডাক্তাররা প্রথম থেকেই ১০ দফা দাবি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে আসছে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে বলতে পারত আমরা দাবি মেনে নিচ্ছি। স্বাস্থ্য সচিব নিজে চিঠি দিয়ে অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত অভীক দে- কে ফার্মাসি কাউন্সিলের সদস্য এবং সৌরভ পালকে ফার্মাসি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং মেডিকেল কাউন্সিলের সদস্য করেছেন। অপরাধীদের পাশে উনি আছেন। ওঁকে দায়িত্বে রেখে কখনো সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ডাক্তাররা চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এ কথা জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অবিলম্বে স্বাস্থ্য সচিবকে খারিজ করুন। সমস্যা মেটান।
Advertisement
উপনির্বাচনে আরজি কর কাণ্ডের প্রভাব পড়বে কিনা প্রসঙ্গে সুজনবাবু বলেন, আরজি করকে ভোটের ইস্যু হিসেবে দেখছি না। এটা জনগণের আন্দোলন, পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। মানুষের পাশে আমরা রয়েছি। নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া প্রসঙ্গে সুজনবাবু বলেন, আমরা প্রার্থী নিশ্চয়ই দেব কাল না হয় পরশু। ওদের একটা সুবিধে রয়েছে তৃণমূলের লোককে বিজেপি প্রার্থী করে দিতে পারে। এবারেও হয়েছে বাঁকুড়ার তালডাঙরায়। আমরা তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সবাইকে নিয়ে একসাথে নিয়ে চলার পক্ষপাতী । আমরা সেই মনোভাব নিয়েই চলবো। কংগ্রেস সভাপতি নতুন । তিনি সকলের সঙ্গে কথা বলে মনোভাব বুঝে নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখছি। উপস্থিত ছিলেন তাপস সিনহা ,সবুজ ঘোড়ই , অনিতবরণ মণ্ডল, কালি নায়েক ,কমল পলমল প্রমুখ।
Advertisement
Advertisement



