• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপালের

আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী (মাঝখানে) (Photo: Kuntal Chakrabarty/IANS)

আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা বর্তমানে ঠিক কি, এদিনের বৈঠকে উঠে আসতে পারে এই প্রসঙ্গ, মনে করা হচ্ছে এমনটাই।

সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল-প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। পতাকা খােলাকে কেন্দ্র করে শনিবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় সন্দেশখালির ন্যাজাটের হাটগাছি এলাকায়। পুরাে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকরা। এদিনের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, তৃণমূল কর্মী কায়ুম মােল্লা এবং বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের। এই ঘটনার পর থেকে দলের বেশ কিছু কর্মী নিখোজ, এমনটাই দাবি করা হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি দুই দলের পক্ষ থেকেই।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত প্রসঙ্গে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি এই দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে। দু’পক্ষই পুরাে ঘটনার জন্য একে অপরের দিকে আঙুল তুলছে। ঘটনাস্থলে মােতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।

Advertisement

এদিকে শনিবার রাতে সন্দেশখালির ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এমনকি এদিন রাতেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পুরাে বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানান তিনি। এরপরেই রাজ্য সরকারের থেকে পুরাে ঘটনার রিপাের্ট তলব করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যদিও রাজ্য প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে রাজ্যে ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এভাবে রিপাের্ট চেয়ে পাঠানাের এক্তিয়ার কেন্দ্রের নেই। পুরাে বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণােদিত বলেও দাবি করছেন রাজ্য শাসক দলের একাংশ।

অন্যদিকে রবিবার সকালেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। সােমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির সঙ্গে প্রশাসনিক বেঠক করবেন তিনি সন্দেশখালির ঘটনার পর এই আলােচনাচক্রে বিষয়টি উঠে আসতে পারে বলেও মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

পাশাপাশি রবিবার রাজ্যে ভােট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। এদিন রাজভবন থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে সব পক্ষের কাছেই হিংসা বন্ধের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বিবৃতিতে সন্দেশখালির ঘটনারও উল্লেখ রয়েছে। ভােট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় যারা স্বজনহারা হয়েছেন এবং যাদের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে তাদের সমবেদনা জানিয়েছে রাজ্যপাল।

Advertisement