২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উত্তরসূরী শুধুমাত্র তিনি নন, দল মিলিতভাবে ঠিক করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর দাবি, তৃণমূল সর্বদা এক নম্বরেই থাকবে। এ প্রসঙ্গে বিরোধীদেরও কটাক্ষ করেছেন মমতা। তৃণমূলকে এদিন ‘যৌথ পরিবার’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। এছাড়াও ভোটকুশলী সংস্থা ‘আইপ্যাক’-কেও কটাক্ষ করেন মমতা। তাঁর দাবি, নির্বাচনে জেতানোর ক্ষমতা আইপ্যাকের নেই।
মমতার কথায়, ‘২০২৬ সালে আমরাই আসব। দল মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তরসূরী ঠিক করবে। কর্মীদের ছাড়া দল হয় না। তৃণমূল বরাবরই শৃঙ্খলাবদ্ধ। আগেও দলে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ছিল। বুথের কর্মীরাও আমাদের সম্পদ। তৃণমূল ১ নম্বরেই থাকবে। বিরোধীরা কে কী করবে জানি না। আমি যতদিন বাঁচব, কাজ করে যাব।’ পাশাপাশি শহরের মানুষ তাঁর বিপক্ষে— একথা মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, অনেকসময় মানুষকে ভুল বোঝানো হয়। তিনি বলেন, ‘গ্রামগুলোও এখন শহরের মতো হয়েছে গিয়েছে। সেখানে পানীয় জল, বিদ্যুৎ পৌঁছে যাচ্ছে। পাকা রাস্তা তৈরি হচ্ছে।’ তাঁর কথায়, ‘এবার ১২ লক্ষ বাংলার বাড়ি করে দিচ্ছি। প্রত্যেকেরই পাকা বাড়ি হয়ে যাবে।’
Advertisement
এদিন জাতীয় রাজনীতি, রাজ্য রাজনীতি, সাম্প্রতিক বাংলাদেশের পরিস্থিতি, সমাজ, সংগঠন সহ বিভিন্ন বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়। তাঁকে আইপ্যাকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাব, নির্বাচনে হয়তো কিছুটা সাহায্য করতে পারে। কিন্তু জেতাতে পারে না। তাহলে প্রশান্ত কিশোর নিজে ভোটে হেরে যেত না। তিনি স্পষ্ট করে দেন, মানুষের আস্থাই হল আসল। মানুষ সঙ্গে থাকলে অন্য কিছুর প্রয়োজন হয় না। আইপ্যাকের মতো সংস্থা শুধুমাত্র সার্ভে বা সমীক্ষা করে। এই কাজের জন্য তাঁরা টাকা পান। নির্বাচনে জেতানোর ক্ষমতা তাদের নেই।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ।
Advertisement
এদিন সেই সরকারকে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি বিভিন্নভাবে বিভাজন করার চেষ্টা করে। ডিভাইড অ্যান্ড রুল করে। মহারাষ্ট্রে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ঝুলে আছে। দুটো দলের সাহায্যে আপাতত সরকারে টিঁকে আছে। এই সরকার কতদিন টিঁকবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ১ বছর টিঁকতে পারে হয়তো। এটা আমার ধারণা। মহারাষ্ট্র সরকার আনস্টেবল। মেজরিটি না থাকলে কীভাবে নেতৃত্ব দেবেন?’ পাশাপাশি এদিন ইন্ডিয়া জোট নিয়েও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলাকে কালচারাল স্টেট অফ ইন্ডিয়া বলে মন্তব্য করেন মমতা। বাংলাদেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে কেন রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, বিদেশমন্ত্রী সংসদে বাংলাদেশ নিয়ে বিবৃতি দিন।
Advertisement



