ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। প্রায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই আবহেই সোমবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, রাজ্যের একাধিক জায়গায় যুদ্ধের মহড়া হবে। যার দ্বারা সাধারন মানুষ, ছাত্রছাত্রীদের বোঝানো হবে জরুরি অবস্থায় কী করে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে হয়।
বুধবার সকালে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে মহড়া করে পড়ুয়াদের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত আশ্রয়ে নিয়ে যেতে হবে, তা শেখানো হয় শহরের বিভিন্ন স্কুলে। ল্যামার্টিন গার্লস এবং বয়েস, দিল্লি পাবলিক স্কুল (রুবি), লরেটো, ফিউচার ফাউন্ডেশন গ্রুপ স্কুল সহ বিভিন্ন স্কুলে জরুরি অবস্থায় কী করে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে, তার বিভিন্নরকম প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
ল্যামার্টিন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা দৈনিক স্টেটসম্যানকে জানান, আমরা আমাদের স্কুলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে এরকম একটা কঠিন পরিস্থিতিতে তারা আমাদের সুরক্ষিত থাকার বিশেষ কিছু উপায় শিখিয়ে দিচ্ছেন। আমরা সমস্ত রকম তথ্য সংগ্রহ করেছি। যদি আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তবে আমরা এই পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করতে পারব। এই সময় আতঙ্কিত হওয়ার নয়। এই সময় নিজের দেশের উপর বিশ্বাস রাখার সময়।
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রশাসনের হাতে ৬২টি স্যাটেলাইট ফোন রয়েছে। কলকাতায় সাইরেন রয়েছে ৯৫টি। বিভিন্ন জেলায় সাইরেন রয়েছে ২৫-৩০টি করে। আর জেলা সদরে রয়েছে ১টি করে। এও বলা হয়েছে, বুধবার থেকে সাতদিন পর্যায়ক্রমে মক ড্রিল হবে রাজ্য জুড়ে। এই মক ড্রিলে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করা হবে না। তবে নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত সবাইকেই অংশ নিতে হবে, যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা দেওয়া যায়।