নিজস্ব প্রতিনিধি: শিক্ষক – শিক্ষিকাদের বদলী সংক্রান্ত রাজ্যের ‘উৎসশ্রী পোর্টাল’ বন্ধ। অফলাইনে বদলির আবেদন করতে হচ্ছে। অতি সম্প্রতি এই আইনি বৈধতা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু আবেদন করার কত দিন পর সেই আবেদনকারীর ডাক আসবে? কবে তিনি বদলি হবেন? সেই প্রশ্ন এবার তুলল কলকাতা হাইকোর্ট?কিন্তু কত দিনে তাদের সেই আবেদন গৃহীত হবে? মান্যতা পাবে? সেই প্রশ্ন উঠছিল। শিক্ষক বদলির সিদ্ধান্ত কত দিনে হবে ? জানতে চাইল হাইকোর্ট।বদলির আবেদন জানানোর কত দিনের মধ্যে পর্ষদ সেটি বিবেচনা করবে ? কত দিনেই বা বদলি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে? এবার সেই প্রশ্নই তুলল আদালত।
এক শিক্ষিকার আপোষ বদলির আবেদন মামলার শুনানি চলছে। সেখানেই কলকাতা হাইকোর্টের এই প্রশ্ন।এই নিয়ে পর্ষদের কী গাইড লাইন রয়েছে? সময়সীমাও বা কী? সেই সব জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশ, -‘একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা পর্ষদের কাছে বদলির আবেদন জানানোর পর কত দিনে তাঁকে সিদ্ধান্ত জানানো হয়? সেটি গাইডলাইন সহ পর্ষদকে জানাতে হবে’।মামলাকারীর আইনজীবী জানান, -‘সম্প্রতি প্রাথমিকের মামলাগুলি শুনছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর এজলাসে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে শিক্ষক বদলি সবই বিচার্য ছিল। সেই সময় দীর্ঘদিন ‘উৎসশ্রী পোর্টাল’ বন্ধ থাকায় অফলাইনে বদলির আবেদনে আইনি বৈধতা দেন বিচারপতি মান্থা’।
Advertisement
আইনজীবী আরও জানান, -‘পুতুল সিট নামে পুরুলিয়ার এক শিক্ষিকা ২ জুলাই পর্ষদের কাছে আপোষ বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনও সিদ্ধান্তই তাঁকে জানানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি’।আদালতে পর্ষদের আইনজীবী বলেন , “এই বিষয়ে বিবেচনার জন্য পর্ষদকে যথাযথ সময় দেওয়া হয়নি। পর্ষদকে সেই সময় দেওয়া হোক। তারা সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে। এই বিবেচনার জন্য পর্ষদের নির্দিষ্ট কোনও ‘টাইম লিমিট’ নেই। এই কথাও আদালতে দাবি পর্ষদের।আগামী ২৯ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।
Advertisement
Advertisement



