দীর্ঘদিন পর রাজ্যের মেধা তালিকায় জায়গা পেল পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন। উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সেমিস্টারে যে ফলাফল হয়েছে তাতে মেধাতালিকার বিচারে পুরুলিয়ার রামকৃষ্ণ মিশনের ২৪ জন ছাত্র প্রথম দশে স্থান দখল পেয়েছে। রাজ্যে যুগ্মভাবে প্রথম হওয়া দুজন ছাত্রই পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের পড়ুয়া। খবর প্রকাশ হতেই খুশির হাওয়া বিদ্যাপীঠে। জানা যায়, এবার এই স্কুল থেকে ৬৪ জন পরীক্ষায় বসেছিল। তারমধ্যে প্রথম দশে রয়েছে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের ২৪ জন ছাত্রের নাম।
বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক স্বামী জ্ঞানরূপানন্দ মহারাজ বলেন, ‘এবার এই বিদ্যাপীঠ থেকে মোট ৬৪ জন ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল। তারমধ্যে ২৪ জন মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। ছাত্ররা আমাদের গর্বিত করেছে। বিদ্যাপীঠের সমস্ত সন্ন্যাসী, ব্রহ্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই ফলাফল। অবশ্যই আমাদের সবার মাথার উপর রয়েছে ভগবান শ্রী রামকৃষ্ণ দেব, মা সারদামণি ও স্বামী বিবেকানন্দের আশীর্বাদ। আমরা আশা করব চতুর্থ সেমিস্টারে ছাত্ররা এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বা এর থেকেও ভালো ফল করবে। এই ফলাফল আমাদের সকলের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল। ছাত্র ও শিক্ষকদের কাছে আমার আবেদন চতুর্থ সেমিস্টারে ফলাফল এর থেকেও যেন ভালো হয়।’
যুগ্ম প্রথম দুই ছাত্রের মধ্যে আদিত্য নারায়ণ জানা জানায়, ভালো পরীক্ষা হয়েছিল। ভালো ফলের আশা করেছিলেন তিনি। তবে ফলাফল এমন হবে বিশ্বাস করতে পারেনি। আগে যেভাবে পরীক্ষা হতো এবার সম্পূর্ণ আলাদা। নতুন সিলেবাস নিয়ে কৌতুহল ছিল। সকলে ভালোভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছিল। তবে এরকম ফলাফল হবে ভাবতে পারেনি আদিত্য। আদিত্য জানায়, চতুর্থ সেমিস্টারে এই ফলাফল ধরে রাখার চেষ্টা করবে সে। উচ্চ মাধ্যমিকের পর স্ট্যাটিস্টিকস নিয়ে পড়ার ইচ্ছা রয়েছে তার। ডেটা সায়েন্স নিয়ে এগোনোর পরিকল্পনা আছে।
আর এক যুগ্ম প্রথম স্থান অধিকারী ছাত্র প্রীতম বল্লভ জানায়, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার নতুন পদ্ধতি নতুন প্যাটার্ন নিয়ে প্রথম দিকে তার একটু চিন্তা ছিল। পরীক্ষা ভালই দিয়েছিল, তবে প্রথম হবে তা ভাবতে পারেনি। এখন লক্ষ্য চতুর্থ সেমিস্টারে ভালো ফল করা। তারপর আগামী দিনে অর্থনীতি নিয়ে পড়ার ইচ্ছে আছে তার। মিশনের নিয়ম অনুযায়ী পড়াশোনা খেলাধূলা সবই করেছে সে। আদিত্যর সঙ্গে মিলে পড়াশোনা করতেন তিনি। দুজনেই ৯৮ শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়ে রাজ্যে যুগ্ম প্রথম হয়েছে। মহারাজ তাদের খুবই সাহায্য করেছেন। এছাড়াও প্রত্যেকটি বিষয়ের শিক্ষকেরা খুব ভালোভাবে পড়া বুজিয়ে দিয়েছেন। সে জানায়, ভালো ফল করে এই বিদ্যাপীঠের নাম আরও উজ্জ্বল করতে চায়।
Advertisement