২৭ অক্টোবর মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বাংলা-সহ দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর ঘোষণা করেন। এরপর ৪ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ শুরু করে দেন বুথ লেভেল অফিসাররা। আজ, শনিবার পর্যন্ত ১৯ তম দিনে হল ফর্ম পূরণের। এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিএলও-র আত্মঘাতীর খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
বাংলায় এখনও পর্যন্ত তিনজন বিএলও-র মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এছাড়া কাজের চাপে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন অনেক বিএলও। অতিরিক্ত কাজের চাপকে এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে। শুধু এ রাজ্যেই নয়, তামিলনাড়ু, রাজস্থান এবং কেরলের মতো একাধিক রাজ্যেও এই অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
মোদী-শাহের রাজ্য গুজরাতেও বিএলও-র মৃত্যুর খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। আর তা সামনে আসতেই সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের খোঁচা, ‘তামিলনাড়ু, রাজস্থান, কেরলের পরে এ বার গুজরাত। মোদী-শাহের রাজ্যে এসআইআর নিয়ে অমানবিক চাপের মুখে আত্মঘাতী বিএলও।’
Advertisement
গুজরাতের গিরের সোমনাথ জেলার বাসিন্দা ছিলেন অরবিন্দ বাধের। ২১ নভেম্বর আত্মহত্যা করেন ওই বিএলও। পেশায় স্কুল শিক্ষক ছিলেন তিনি। এসআইআরের অতিরিক্ত কাজের চাপে মানসিক হতাশা অরবিন্দকে ঘিরে ধরছিল বলে খবর। তার জেরেই তিনি আত্মহত্যা করেন বলে দাবি পরিবারের। সুইসাইড নোটে স্ত্রীকে এ নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন বলে দাবি পরিবারের।
অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রস এক্স হ্যান্ডলে লিখেছে, ‘অরবিন্দ তাঁর সুইসাইড নোটে লিখেছেন, ‘আমি আর এসআইআর-এর কাজ করতে পারছি না।’ শুধু বাংলাতেই নয়, অন্যান্য রাজ্যেও একই পরিস্থিতি। বিএলও-রা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ কাজের চাপে নিজেদের শেষ করে দিচ্ছেন। শনিবার বাংলায়ও আত্মঘাতী হয়েছেন এক বুথ লেভেল অফিসার। তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর কত জীবনের বিনিময়ে কমিশনের হুঁশ ফিরবে, প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Advertisement



