পুরভোটে এনআরসিকেই হাতিয়ার করছে তৃণমূল

নাগরিকপঞ্জিকে হাতিয়ার করে পুরভােটের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমাে মমতা বন্দোপাধ্যায়।

Written by SNS Kolkata | November 8, 2019 11:27 am

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

নাগরিকপঞ্জিকে হাতিয়ার করে পুরভােটের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমাে মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিভাবে এনআরসির বিরুদ্ধে ভােটের প্রচার করতে হবে, সেই টোটকা তৃণমুলের জনপ্রতিনিধিদের বাতলে দিলেন ভােট স্ট্যাটিজিস্ট প্রশান্ত কিশাের। আর একই সঙ্গে সমস্ত ইস্যুকে হাতিয়ার করে দলের সাংসদ এবং বিধায়কদের লাগাতার প্রচার আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লােকসভা নির্বাচনে হতাশাজনক ফলের পরে দলের বৈঠকে জনসংযােগ কর্মসূচির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতিটি মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের কথা শুনতে হবে। সরকারি প্রকল্পগুলির প্রয়ােজনীয়তাকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। লােকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেই কথা মনে করেই সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমাে।

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগের বছরে রয়েছে পুরসভার নির্বাচন। নভেম্বর মাসেই রয়েছে তিনটি বিধানসভার উপনির্বাচন, যা এই নির্বাচনে এনআরসিকেই হাতিয়ার করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে দলের সাংসদ এবং বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। ভবনে দু’দফায় বৈঠক হয়। প্রথম বৈঠকটি হয় ভােট স্ট্যাটিজিস্ট প্রশান্ত কিশােরের সঙ্গে। পরে তৃণমূল সুপ্রিমাে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, জাতি, ভাষাভাষির ভিত্তিতে কখনই এনআরসি হবে না। আমরা এটা নিয়ে আন্দোলন করব। একজন মানুষকে একাধিক নাগরিকত্বের জন্য প্রমাণ রাখতে হচ্ছে। দুটি নাগরিকত্বের কোনও প্রয়ােজন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল সুপ্রিমাে।

অন্যদিকে জয়েন্ট এন্ট্রাসে বাংলা ভাষায় প্রশ্নপত্র করা নিয়ে আগেই সােচ্চার হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্য সমস্ত ভাষায় প্রশ্নপত্র হলে কেন বাংলা ভাষায় হবেনা বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এদিন ফের দলের বৈঠকে একই দাবিতে সােচ্চার হলেন তিনি। আগামী ১১ নভেম্বর থেকে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে এই ইস্যুতে আন্দোলনে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জবাব দেন, গুজরাতি ভাষা নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সব ভাষাতে প্রশ্নপত্র হবে না কেন? অথচ বাংলা ভাষায় প্রশ্নপত্র তৈরি করার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় আগেই চিঠি পাঠিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্র, গুজরাত চিঠি পাঠিয়েছিল। কিন্তু মারাঠি ভাষা বাদ গেল কেন? কিন্তু আমি মনে করি সব ভাষাতেই প্রশ্নপত্র হওয়া উচিত। গুজরাতিভাষায় প্রশ্ন হলে সেখানকার পড়ুয়ারা ভালাে ফলাফল করবে। অন্য অন্য ভাষায় না হলে অসুবিধার মধ্যে পড়ুয়াদের পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

অযােধ্যা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত সকলকে এই বার্তাই দিয়েছেন, অযােধ্যা ইস্যুতে আপনারা কেউ কিছু বললেন না। যা বলার আমিই বলব বলে জানিয়েছেন তিনি।