কোচবিহারের কৃষকদের জন্য সুখবর। গত বছরের তুলনায় ধানের সরকারি সহায়কমূল্য কুইন্টালপ্রতি ৬৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি ধান ক্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি বেশ কিছু অস্থায়ী ধান ক্রয়কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ধানের সরকারি সহায়কমূল্য বাড়ায় খুশি কৃষকেরা। কোচবিহার জেলা খাদ্য নিয়ামক পুরবা ভুটিয়া বললেন, ‘এই বছর ১ নভেম্বর থেকে সরকারি সহায়কমূল্যে কৃষকদের থেকে ধান কেনা হবে।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গত বছর কুইন্টালপ্রতি ধানের সরকারি সহায়কমূল্য ছিল ২ হাজার ৩০০ টাকা। এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ হাজার ৩৬৯ টাকা। কৃষকদের থেকে ধান কেনার জন্য জেলার বিভিন্ন ব্লকে মোট ৩৩টি স্থায়ী সরকারি ধান ক্রয়কেন্দ্র থাকছে। এছাড়া অস্থায়ীভাবে প্রশাসনের তরফে আরও সাতটি ধান ক্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হবে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কৃষকদের থেকে ধান কিনবে এই ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলি।
অনেক কৃষকই বিভিন্ন কারণে ধান ক্রয়কেন্দ্র আসতে পারেন না। মূলত তাঁদের কথা ভেবেই অস্থায়ী ধান ক্রয়কেন্দ্রগুলি কাজ করবে। এছাড়া ৪৭টি সোসাইটি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং ফার্মার প্রডিউসার অর্গানাইজেশনের মাধ্যমেও প্রশাসনের তরফে কৃষকদের থেকে এই ধান কেনা হবে। জেলার ধানকলগুলোর সঙ্গে কথা বলছে প্রশাসন। মোট ১৫টি চালকল ধান কিনবে বলে ঠিক হয়েছে।
কৃষকদের বক্তব্য, ‘ধানের সহায়কমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা সুবিধা হয়েছে। প্রতি বছর সরকারের কাছে ধান বিক্রি করার সময় কিছু ধান বাদ দেওয়া হয়। ধান এভাবে বাদ না দিলে লাভ হয়।’ এদিকে সরকারের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসন পূরণ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। সূত্রের খবর, খোলাবাজারে ধানের দাম সরকারি সহায়কমূল্যের তুলনায় বেশি হওয়ায় অধিকাংশ কৃষক খোলাবাজারেই ধান বিক্রি করছেন।



