নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত অসংগ্রহযোগ্য ফর্মের সংখ্যা ৪৬ লক্ষ ২০ হাজার। মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্মের ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ হয়েছে। সেই হিসাব অনুযায়ী রাজ্যে মৃত ভোটার ২২ লক্ষ ২৮ হাজার। নিখোঁজ ভোটারের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৪১ হাজার। স্থানান্তরিত ভোটারের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ২২ হাজার। ভুয়ো ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার। এই সব ভোটারদের সবাইকে অসংগ্রহযোগ্য ফর্মের তালিকায় রাখা হয়েছে।
জেলাশাসকদের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ২ হাজার ২০৮টি বুথে গত এক বছরে কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়নি, কেউ স্থানান্তরিত বা নিখোঁজ হননি, কোনও ভোটারের একাধিক জায়গায় নাম নেই। এই সব বুথে যত ভোটারের এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়েছিল, সেগুলি সবই পূরণ করে জমা দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সোমবার এই সব জেলার কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত রিপোর্ট এসেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, এমন বুথের সংখ্যা ২,২০৮ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮০-তে। সবথেকে বেশি এ রকম বুথ রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সবথেকে বেশি মৃত ভোটার রয়েছে কলকাতা উত্তর (৬.৯১ শতাংশ) ও কলকাতা দক্ষিণে (৬.০৬ শতাংশ)। কলকাতা উত্তরে সংখ্যাটা ১ লক্ষ ৪ হাজার ৭৬। কলকাতা দক্ষিণে মৃত ভোটারের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৯৮৫। সবথেকে কম মৃত ভোটারের সংখ্যা পূর্ব মেদিনীপুর (১.৪০ শতাংশ) ও পশ্চিম মেদিনীপুরে (২ শতাংশ)। পূর্ব মেদিনীপুরে সংখ্যাটা ৫৯ হাজার ৮০০ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ৮০ হাজার ১৩০। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা মৃত ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৯ হাজার (৩.২৫ শতাংশ)। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৮৮ হাজার (৩.৪৭ শতাংশ)।
দুই ২৪ পরগনার, দুই কলকাতা, হাওড়া ও হুগলির জেলার জেলাশাসকদের নতুন করে চিঠি দিয়েছে কমিশন। যে সব আবাসনে ৮০০ বা তার বেশি ভোটার রয়েছে এমন আবাসনের খোঁজ করতে বলেছে কমিশন। এই নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের মতামত জানিয়েছে। সেই মতগুলিকে সামনে রেখে পুনরায় খোঁজ খবর নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এই নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ জেলাশাসকদের দেওয়া হয়েছে।
এখনও একাধিক জেলায় অসংগ্রহয়োগ্য ফর্মের সংখ্যা আপলোড করা হচ্ছে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই আসল সংখ্যাটা পাওয়া যাচ্ছে না। এই নিয়ে বিএলও–দের একাংশের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দিল্লির নিয়োগ করা স্পেশ্যাল অবজার্ভার সুব্রত গুপ্ত।
Advertisement