যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানি হল না। রাজ্যের তরফে আইনজীবী উপস্থিত না হওয়ায় মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয় হাইকোর্টে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে আগামী সোমবার সকালে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
যুবভারতীতে লিওনেল মেসির ইভেন্টে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মমলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে যুবভারতীতে তাণ্ডবের ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার জনস্বার্থ মামলাগুলি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। রাজ্য সরকারের হয়ে এই মামলাগুলি লড়ছেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এদিন তিনি সুপ্রিম কোর্টের অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাই রাজ্যের তরফে শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। সেই আর্জি মেনে মামলার শুনানি পিছিয়ে দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী সোমবার যুবভারতীর ঘটনায় রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
Advertisement
গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতীতে আয়োজিত মেসির অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। স্টেডিয়ামে চালানো হয় যথেচ্ছ ভাঙচুর। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে রাজ্যের ভাবমূর্তি। এই বিশৃঙ্খলার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। এই জনস্বার্থ মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। এছাড়া আরেকটি মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি। অন্য দুটি মামলা করেন ময়ূখ বিশ্বাস এবং আয়ুশ মজুমদার।
Advertisement
এই জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হাজির না থাকায় মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হলে মামলাকারী শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষের আইনজীবী এর বিরোধিতা করে বলেন, ‘যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাঁরাই আইনজীবী হিসেবে আদালতে সওয়াল করতে পারেন না।’ কিন্তু এতে আমল দেননি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় এই মামলার শুনানি হবে।
Advertisement



