মুখ্যমন্ত্রীর ‘ব্যক্তিগত বার্তা’ টুইট করে প্রকাশ্যে আনলেন রাজ্যপাল, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

প্রধানমন্ত্রীর পর্যালােচনা বৈঠকে যােগদান করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ব্যক্তিগত বার্তা’ পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে।

Written by SNS Kolkata | June 2, 2021 12:55 pm

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। (File Photo: IANS)

প্রধানমন্ত্রীর পর্যালােচনা বৈঠকে যােগদান করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ব্যক্তিগত বার্তা’ পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। সময়, বিষয়বস্তু সমেত সােমবার রাতেই সেটি টুইট করে প্রকাশ্যে এনেছিলেন রাজ্যপাল।

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ নবান্ন। এতটাই যে, ভবিষ্যতে রাজভবনের সঙ্গে এই ধরনের ‘সৌজন্যমূলক’ যােগাযােগ আর রাখা হবে কিনা, তা নিয়েও শাসক শিবিরে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। সােমবার প্রায় মধ্যরাতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, গত ২৭ মে, বৃহস্পতিবার জরুরি ভিত্তিতে কথা বলতে চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাত ১১ টা ১৬ মিনিটে তাকে একটি মেসেজ করেন। সেই মেসেজ করার পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছিল তার। 

ধনকড়ের দাবি, সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী থাকলে তিনি ওই বৈঠক বয়কট করবেন। সেই কারণে তিনি কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর পর্যালােচনা বৈঠকে থাকতে পারবেন না। এমনকী সেখানে থাকতে পারবেন না রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ অফিসারেরাও। 

টুইটের শেষ লাইনে ধনকড় লিখেছিলেন, ‘অহং জিতল, হেরে গেল নাগরিক পরিষেবা।’ ওই টুইটের পরে রাতেই ক্ষোভের আবহ তৈরি হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতানেত্রীরা আর্জি জানাতে থাকে, রাজভবনের সঙ্গে সমস্ত রকমের বার্তা বিনিময় বন্ধ করে দেওয়া হােক। দলের প্রথম সারির নেতাদের কথায় সমস্ত পর্যায়ের রাজনীতিতেই এই ধরনের বার্তা বিনিময় হতে থাকে। 

মুখ্যমন্ত্রী নিজস্ব সৌজন্যবােধ থেকেই রাজ্যপালকে বার্তা পাঠিয়ে জরুরি ভিত্তিতে কথা বলতে চেয়েছিলেন। সেটা জনসমক্ষে এনে ঠিক করেননি রাজ্যপাল। যিনি নিজেকে সবসময় নিজেকে সাংবিধানিক প্রধান বলে দাবি করেন, তার এরকম আচরণ দুর্ভাগ্যজনক। এইভাবে চললে ভবিষ্যতে রাজভবনের সঙ্গে যােগাযােগ রাখা যাবে কিনা, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তার সময় এসেছে।