• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা, সিকিমে ভয়াবহ ভূমিধস

দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। প্রবল জলের তোড়ে বিপর্যস্ত হয়েছে পাহাড়ি যোগাযোগ ব্যবস্থা।

প্রতীকী ছবি

প্রবল বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ ও সিকিম। টানা ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে ফের রুদ্ররূপ ধারণ করেছে খরস্রোতা তিস্তা। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। প্রবল জলের তোড়ে বিপর্যস্ত হয়েছে পাহাড়ি যোগাযোগ ব্যবস্থা। একই সঙ্গে ভয়াবহ ভূমিধসে বিধ্বস্ত সিকিম।

রবিবার ভোরে উত্তর সিকিমের রিং খোলা এলাকায় বড়সড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে আপার জঙ্গু অঞ্চলের সঙ্গে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ফিদাং ও সাংক্লাংয়ের মধ্যে রাস্তাঘাট। বহু যাত্রী সেখানে আটকে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

এছাড়া পশ্চিম সিকিমেও ধসের ঘটনা ঘটেছে, যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন একজন। কয়েক দিন আগেই উত্তর সিকিমে ধসের বলি হয়েছিলেন চারজন। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টিতে উত্তর ও পশ্চিম সিকিমের একাধিক জায়গায় আবারও ধস নামছে।

Advertisement

দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে বিক্ষিপ্ত ধসের খবর মিলেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই অঞ্চলের ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বড়সড় ধসের কবলে না পড়লেও, তিস্তার জল এই সড়কের উপর দিয়ে বইতে শুরু করায় প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ। নদীতে বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে জলস্তর। তিস্তার পাশাপাশি মহানন্দা নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সড়ক পথে যানচলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে চালকদের উদ্দেশে। পুজোর মুখে এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে পর্যটনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। জাতীয় সড়কে ধস নামলে বা যোগাযোগ ব্যবস্থায় দীর্ঘস্থায়ী ব্যাঘাত ঘটলে সেই প্রভাব সরাসরি পড়বে পর্যটন শিল্পে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রয়েছে। যাত্রীদের ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অপ্রয়োজনে যাতায়াত না করার অনুরোধও জানানো হয়েছে।

Advertisement