রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে কর্মসংস্থানে নতুন দিশার খোঁজ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় ৫০ হাজার কর্মী নিয়োগ করেছে টিসিএস । ২০১১ সালে তৃণমূল যে বছর ক্ষমতায় এল সেবার ১১ হাজার কর্মী নিয়োগ করেছিল। এর মধ্যে সংখ্যাটা তিনগুণ বেড়েছে।
টুইট করে এই খবর জানিয়ে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা দেশেই কর্মসংস্থানের বেহাল অবস্থা। সেই তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের কর্মংস্থানের হার খানিকটা ভালো।
Advertisement
এমনটাই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও রাজ্যের কর্মসংস্থান নিয়ে হাজারো প্রশ্ন তোলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের অভিযোগ, এই রাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই বলেই যুব প্রজন্ম অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে।
Advertisement
সল্টলেক, রাজারহাটের শিল্পতালুকে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও সেখানে নিয়োগ হয় না বলেই অভিযোগ করে থাকে বিরোধীরা।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে সেইসব অভিযোগের উপযুক্ত জবাব দিলেন। কলকাতায় টিসিএস এর ৫০ হাজার জনকে চাকরি দেওয়া নিয়োগের বিষয়ে নতুন করে ভাবাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকে জেলায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, এখন আর নতুন করে কোনও প্রকল্পে খরচ করা হবে না। বুধবারও টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন কর্মসংস্থান তৈরিতে রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জনগণের রায়ে একুশের বিধানসভায় ডাবল সেঞ্চুরি করে বিপুল আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের উন্নয়ন পদক্ষেপগুলির পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বণিকসভা ও শিল্পপতিরা। একইসঙ্গে শিল্পপতিরা এই রাজ্যে বিনিয়োগ করার জন্যও উৎসাহ দেখিয়েছে। কিছুদিন আগেই নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন আদানি গ্রুপের কর্মকর্তা।
আগামী পাঁচ বছরে শিল্পের উন্নয়ন আরও ত্বরাণ্বিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেউ চাইছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে বড় শিল্পের কথাও ভাবা হোক।
আবার কেউ চাইছেন প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে আরও বেশি সম্পর্ক স্থাপন করুর রাজ্য সরকার। সব মিলিয়ে শিল্প চাইছে কর্মসংস্থান ও শিল্পায়লে আরও জোর দিক রাজ্য সরকার।
Advertisement



