বন্যার পরিস্থিতির আগাম প্রস্তুতি দেখতে উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন শুভেন্দু

খাতায় কলমে এখন বর্ষাকাল হলেও বৃষ্টির দেখা নেই। তা সত্ত্বেও বন্যা পরিস্থিতির জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে চান সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

Written by SNS Kolkata | June 26, 2019 12:57 pm

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র (Photo: iStock)

খাতায় কলমে এখন বর্ষাকাল হলেও বৃষ্টির দেখা নেই। তা সত্ত্বেও বন্যা পরিস্থিতির জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে চান সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

এই উদ্দেশ্যে আগামী ৬ জুলাই উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার যাচ্ছেন সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিস্তা ব্যারেজের অবস্থাও খতিয়ে দেখতে চান মন্ত্রী।

শুভেন্দুবাবু বলেন, রাজ্য সরকার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে সেন্ট্রাল ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট নামে একটি সংস্থা চালু করা হবে। এর সমস্ত তথ্যাদি বিধায়কদের কাছে থাকবে। তাছাড়া টোল ফ্রি নম্বরে বিধায়করা সরাসরি এই সংস্থার কাছে বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে সাহায্য পাবেন। 

মঙ্গলবার বিধানসভায় আসন্ন বর্ষায় রাজ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতি নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিধায়করা। ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায় বলেন, বানারহাট চা বাগান অঞ্চল প্রত্যেক বছর বন্যায় ভাসে। তা আটকাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বানারহাট অঞ্চলটি ভূটান সীমান্তে অবস্থিত। আবার এই অঞ্চলে বেশ কিছু কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাও রয়েছে। তাই এখানকার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সবাই মিলে একজোট হয়ে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই বিষয়ে দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এদিন ঘাঁটাল মাস্টার প্ল্যান কতদূর এগিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে কোনও টাকা না পাওয়া গেলেও রাজ্য সরকার ৩০০ কোটি টাকা সংস্কার কাজে ব্যয় করার জন্য বরাদ্দ করেছে। বিশেষ করে এই টাকায় এই অঞ্চলের বিভিন্ন নদীর পলি তােলার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন সুইস গেট মেরামতি ও পরিষ্কার করার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছে। আয়লা অধ্যুষিত অঞ্চলেও বাঁধ তৈরির কাজ প্রায় শেষ। মুক্তেশ্বরী নদীতে বাঁধ দেওয়ার কাজ শেষ হলেও হুগলি ও হাওড়ার প্রায় সাড়ে ২৬ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে বলে মন্ত্রী জানান।