আর জি কর হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ ভাঙচুর কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। ২২ অগস্ট দেশের শীর্ষ আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে আর জি কর মামলার প্রথম শুনানি চলছে।
মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় রাজ্যের কাছে জানতে চান আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে কি না? এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, এই সন্দীপ ঘোষকেই টানা চারদিন জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। মঙ্গলবারও দুপুর নাগাদ সিবিআইয়ের দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন সন্দীপ।
Advertisement
এদিকে সন্দীপ ঘোষের সাসপেনশন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে রাজ্য জানায়, তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আর জি করের ভাঙচুর নিয়ে রাজ্যের তরফে বলা হয়, এখনও পর্যন্ত ৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরই আদালত নির্দেশ দেয়, হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই রিপোর্ট ২২ অগস্ট শীর্ষ আদালতে জমা দিতে হবে রাজ্যকে। আগামী ২৩ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
Advertisement
সপ্তাহখানেক আগে ‘রাত দখল’ কর্মসূচি চলাকালীন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। বুধবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আর জি করের লাগোয়া এলাকায় ‘রাত দখল’ কর্মসূচির একটি মিছিল চলছিল।
অভিযোগ, সেই সময় আর জি করের জরুরি বিভাগের বাইরে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমে ভাঙচুর চলানো হয়।
আর জি করের পুলিশ ফাঁড়ি এবং আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। ঘটনাস্থলে কিছু পুলিশকর্মী উপস্থিত থাকলেও প্রাথমিকভাবে তারা কিছু করে উঠতে পারেননি। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নামানো হয় র্যাফও। ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের একাধিক গাড়ি। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া ইটে জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী।
Advertisement



