কেন্দ্রের ব্যর্থতায় ছাত্রের মৃত্যু: অধীর চৌধুরি

ভারতবর্ষের ‘র’ আছে, বিদেশমন্ত্রালয় আছে, ফরেন এমব্যাসি আছে। তাঁদেরও সেখানকার খবরাখবর নেওয়ার অকিার আছে। মস্কোতে এমব্যাসি আছে।

Written by SNS Kolkata | March 2, 2022 4:10 pm

New Delhi: Congress MP Adhir Ranjan Chowdhury at Parliament in New Delhi on Dec 21, 2018. (Photo: IANS)

ভারত সরকারের ব্যর্থতার কারণেই ইউক্রেনে রুশ বোমার আঘাতে কর্নাটকের বাসিন্দা নবীন শেখারাপ্পা নামক ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে মঙ্গলবার অভিযোগ করেন লোকসভার পরিষদীয় দলনেতা সাংসদ অধীর চৌধুরি।

মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন তিনি এই অভিযোগ করেন।

এদিন অধীর চৌধুরি বলেন, ‘ভারত সরকার প্রথম থেকে সতর্ক না হওয়ার কারণে এই মৃত্যু। জানি না আর কত মৃত্যু হবে। আমি খুবই দুঃখিত, মর্মাহত।

সেই সঙ্গে চিন্তিত। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সংঘর্ষের বাতাবরণ আজ থেকে নয়। বেশ কিছুদিন ধরে চলছে।

ভারতবর্ষের ‘র’ আছে, বিদেশমন্ত্রালয় আছে, ফরেন এমব্যাসি আছে। তাঁদেরও সেখানকার খবরাখবর নেওয়ার অকিার আছে। মস্কোতে এমব্যাসি আছে।

ইউক্রেনেও এমব্যাসি আছে। তাহলে তারা কী করছিল? প্রশ্ন এখানেই আমার। তারা কি সেখানে খই ভাজছিল?

যখন সারা পৃথিবীর লোক বুঝতে পারছে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যে সীমানা, সেই সীমানার পরিস্থিতি দিনের পর দিন উত্তেজনাপূর্ণ হচ্ছে, যুদ্ধের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে, যুদ্ধের মহড়া হচ্ছে, যুদ্ধ হবে সবাই বুঝে গেল।

সারা পৃথিবী বুঝল যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। খালি ভারতবর্ষের সরকার এবং এই সরকারের দায়িত্বে যিনি রয়েছেন, সেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে ব্যক্ত।

যখন আমাদের ছাত্রছাত্রীদেরকে উদ্ধার করা দরকার, তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। উত্তরপ্রদেশ তার কাছে বড় হল।

ইউক্রেনের ছাত্রছাত্রীরা গুরুত্ব পেল না। এখন মরণকালে হরিবোল করে বলছে, এবার দেখছি। এখন এয়ারফোর্সের বিমান পাঠাবে বলছে। এতদিন কোথায় ছিলেন আপনি?’

অধীর চৌধুরী এদিন আরও বলেন, ‘এর মধ্যে একজন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। কত ছাত্রছাত্রী আছে সেখানে আমাদের জানা নেই। কম করে ২৫-২৮ হাজার ছাত্রছাত্রী আছেন ইউক্রেনে।

তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে? তাঁদের বাঁচাবে কে? তাঁদের খাবার দেবে কে? কোথায় তাঁরা? কী করছে তাঁরা? কিছু জানি না আমরা। যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটা দেশ। সেখানকার রাজধানী বড় বড় শহর।

কোথায় কখন কী পরিস্থিতি কিছু আমরা জানি না। একটা মৃত্যুর উপর দিয়ে যদি এটা শেষ হয়, তাও জানাব ভারত সরকারের বুদ্ধিহীনতার জন্য একটা ছাত্রের মৃত্যু হল।

কিন্তু আমার আশঙ্কা বিপদ আরও বেশি আছে। ছাত্রছাত্রীরা কবে ফিরবে জানি না। তারা সেখানে খেতে পারছে কিনা, জানি না। তারা কোথায় আশ্রয় নিয়েছে, জানি না আমরা। ভারত সরকারের কাছে কোনও তথ্য নেই।’