আইপিএস বদলি ইস্যুতে মমতার পাশে স্ট্যালিন, বাঘেল

পশ্চিমবঙ্গের তিন আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে পাঠানাের সিদ্ধান্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন একের পর এক বিরােধী নেতা।

Written by SNS Kolkata | December 20, 2020 12:45 pm

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

পশ্চিমবঙ্গের তিন আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে পাঠানাের সিদ্ধান্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন একের পর এক বিরােধী নেতা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের পর কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শনিবার টুইট করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। মুখ খুলেছেন ডিএমকে প্রধান এম কে স্টালিনও।

এমনকী আইপিএস পশ্চিমবঙ্গের সরকারকে কোণঠাসা করা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশ্বন্ত সিনহা। টুইটে তিনি লিখেছেন, নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে নেমেছে বিজেপি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আইপিএস বদলির বিরুদ্ধে যেভাবে সরব হয়েছেন, তাতে মমতার বিরােধিতা করার হাতকেই শক্ত করা হল বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল। 

কংগ্রেস পরিচালিত ছত্তিশগড়ে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল শনিবার টুইট করে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সংকটের মুখে। আইপিএস বদলি অত্যন্ত আপত্তিজনক। ডিএমকে নেতা স্টালিনও একই সুরে টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের তিন আইপিএস অফিসারকে যেভাবে বদলি করার নির্দেশ দিল বিজেপি সরকার , তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামাের বিরােধী। দেশের সিভিল সার্ভিস অফিসাররা দিল্লির শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে চলতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে এই নির্দেশ প্রত্যাহার করার আর্জি জানাচ্ছি। 

এদিকে শুক্রবার রাতে স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা এবং তার সহকারীদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির যে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়, সেখানেও তিন আইপিএস রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠী এবং ভােলানাথ পান্ডেকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে দ্রুত পাঠিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয় কেন্দ্র। 

কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশ যে মানা সম্ভব নয় তা স্পষ্ট করে শুক্রবারই জানিয়ে দেয় নবান্ন। রাজ্যের তরফে জানানাে হয়, এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গে অফিসারের সংখ্যা কম। তাছাড়া ওই তিন অফিসারও রাজ্যে ভালাে কাজ করছেন। 

১০ ডিসেম্বর জে পি নাড্ডার কনভয় হামলার ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযােগ রয়েছে, তাদেরকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে রিপাের্ট দিয়েছে রাজ্য। এই মুহুর্তে ওই অফিসারদের রাজ্য থেকে ছাড়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে রাজ্য। তবে রাজ্যের যুক্তি কেন্দ্র মানবে কিনা তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

শুক্রবারে ভার্চুয়াল বৈঠকে স্বরাষ্ট্রদফতর থেকেও এই বিষয়ে নতুন করে কিছু বলা হয়নি। এই অবস্থায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চুড়ান্ত কোনও নির্দেশ জারি করলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনা রাজ্যের। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও মমতাকে সমর্থন জানানাে শুরু করেছে।