• facebook
  • twitter
Friday, 14 November, 2025

শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে পথে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা

দুর্নীতি যুক্ত থাকায় সুপ্রিম কোর্টের তরফে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে চাকরি হারায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা।

নিজস্ব চিত্র

আবারও চাকরি চেয়ে রাজপথে নামলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এক লক্ষ শূন্যপদ নিয়োগের দাবি নিয়ে শুক্রবার করুণাময়ী থেকে এসএসসি ভবন পর্যন্ত মিছিল করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি যা শূন্যপদ আছে তার ৩ গুণ বাড়াতে হবে। যা হবে প্রায় ১ লক্ষের বেশি। পাশাপাশি চাকরিহারা প্রার্থীদের অতিরিক্ত যে ১০ নম্বর দেওয়ার কথা, তার বিরোধিতা করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে ফলপ্রকাশের দাবিতে পথে নেমেছিল ২০২৩ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা।

দুর্নীতি যুক্ত থাকায় সুপ্রিম কোর্টের তরফে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে চাকরি হারায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। এরপরে আদালতের নির্দেশে নতুন করে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। যোগ্য চাকরিহারা প্রার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে বসেন নতুন চাকরিপ্রার্থীরাও। প্রায় ১০ বছর পরে এসএসসির পরীক্ষা হচ্ছে। শুক্রবার সেই পরীক্ষার শূন্যপদে নিয়োগ বাড়ানোর দাবি নিয়ে পথ নেমেছেন নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, এমনিতেই এত বছর পর নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে নতুন চাকরিপ্রার্থীরা যদি পূর্ণমানও পান, তাও চাকরিতে ডাক পাবেন না তাঁরা। কারণ চাকরিহারা যোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের অতিরিক্ত ১০ নম্বর করে অতিরিক্ত দেওয়া হবে।

সাধারণত লিখিত পরীক্ষা হয়েছে ৬০ নম্বরে। বাকি ৪০ নম্বরের মধ্যে রয়েছে অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ডেমো টিচিং এবং ইন্টারভিউয়ের উপর। নতুন অর্থাৎ ফ্রেশার পরীক্ষার্থীদের দাবি চাকরিহারা যোগ্য প্রার্থীদের যদি পুরোনো অভিজ্ঞতার জেরে ওই ১০ নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তাঁদের জন্য সুযোগ কমে যাচ্ছে। পথে নামা চাকরিপ্রার্থীদের দাবি শূন্যপদের সংখ্যা বাড়িয়ে তা ১ লক্ষ করা হোক। আর ইন- সার্ভিস চাকরিপ্রার্থীদের যে অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়া হচ্ছে তা কোনও সরকারি গেজেটে উল্লেখ নেই। তাই এই অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া বন্ধ করা হোক। এদিন এক চাকরিপ্রার্থীর দাবি, ‘ ২০০১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত লক্ষাধিক নিয়োগ হয়েছে। সেই জায়গায় ২০১২-২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়কালে তার ১০ ভাগও হয়নি।