আন্দোলনকে আরও বৃহত্তর করতে এ বার দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে ধরনায় বসবেন এসএসসির ২০১৬ সালের যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক–শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। বুধবার এই কর্মসূচির করবেন তাঁরা। তার আগে সোমবার দুপুরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল থেকে বাসে চেপে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রায় ৬০ জন চাকরিহারা। অন্যদিকে, সিবিআইকে ইমেল করে ওএমআর শিট প্রকাশ করার দাবি জানাতে চাইছেন চাকরিহারাদের একাংশ। তদন্ত চলাকালীন তদন্তকারীরা যে সব ওএমআর শিট পেয়েছেন তা–ই প্রকাশের দাবি জানানো হবে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন ২৫,৭৩৫ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। এই চাকরিহারাদের একটি অংশ বর্তমানে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান করছেন। বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরে অবস্থানে বসার কথা রয়েছে চাকরিহারা ৭০ জনের। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে রবিবারই ট্রেনে চেপে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছে ৭–৮ জন। আজ, মঙ্গলবারও আরও ৭–৮ জনের দিল্লিতে যাওয়ার কথা রয়েছে। এরই মাঝে সোমবার ধর্মতলা থেকে বাসে চেপে প্রায় ৬০ জন চাকরিহারা দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন।
Advertisement
অপরদিকে, সোমবারই কলকাতার রাস্তায় মিছিল করেছেন ”অযোগ্য” বলে চিহ্নিত চাকরিহারারা। সেই সকল ”অযোগ্য”দের কটাক্ষ করেছে ”যোগ্য”দের একাংশ। এতগুলি চাকরি বাতিলের জন্য তাঁদেরকেই দায়ী করেছেন দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়া চাকরিহারারা।
Advertisement
অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চাকরিহারাদের দিল্লি যাত্রার পিছনে ”নাটক” দেখতে পেয়েছেন। তৃণমূলের দালালরা দিল্লিতে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এমনকী দিল্লি পুলিশের নাম করে চাকরিহারাদের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ”দিল্লির পুলিশের লাঠির সাইজ আট ফুট।”
সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিভিন্ন আইনজীবী ও প্রাক্তন বিচারপতিকে ওয়াই চ্যানেলে আহ্বান জানিয়েছিলেন যোগ্য চাকরিহারারা। আইনি পরামর্শ পেতেই তাঁদের অবস্থানস্থলে ডাকা হয়েছিল। সেই পরামর্শ চাকরিহারাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা। ধর্মতলার অবস্থানস্থলে একটি বাক্স বসানো হয়েছে। কারও কোনও মতামত বা পরামর্শ থাকলে একটি কাগজে লিখে ওই বাক্সে ফেলে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
রবিবার ধর্মতলা থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরে গিয়ে প্রায় ৭০ জন চাকরিহারা ধরনা অবস্থান করবেন। চাকরিহারাদের অনেকে এখনও স্কুলে গিয়ে কাজ করছেন। আগামী বৃহস্পতিবার তাঁরা সকলে কালো ব্যাজ পরে কাজে যোগ দেবেন। আগামী ২২ এপ্রিল রাজভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করবেন চাকরিহারারা। আগামী ১–৭ মে পর্যন্ত রিলে অনশন করার পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। ৭ মে–র পর আমরণ অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
Advertisement



