• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

অতিরিক্ত ১০ নম্বর বাতিল সহ একাধিক দাবিতে পথে এসএলএসটির চাকরিপ্রার্থীরা

উত্তাল ধর্মতলা চত্বর

এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল শহর কলকাতা। সপ্তাহের প্রথম দিনেই একাধিক দাবিতে পথে নেমেছেন কর্মশিক্ষা-শারীরশিক্ষার  নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলার উদ্দেশে চাকরিপ্রার্থীরা মিছিল এগিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু সেই মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশবাহিনী। তারপরেই উত্তেজনামূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মিছিলকে ঘিরে চাকরিপ্রার্থী ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি বাধে।

পুলিশের বাধাকে তোয়াক্কা না করে ব্যারিকেড সরিয়ে এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে এগিয়ে যান আন্দোলনকারী নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর ধর্মতলায় ফের পুলিশ আটকালে ধর্মতলার রাস্তায় বসেই প্রতিবাদ দেখান তাঁরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরের প্রাণকেন্দ্রে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। যানজটে পড়ে ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা।

Advertisement

এসএসসির পরীক্ষায় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যে অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়া হয়েছে, তারই প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা। এছাড়াও শূন্যপদ বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি নিয়ে শিয়ালদহ থেকে মিছিল শুরু করেন এসএলএসটির চাকরিপ্রার্থীরা। এস এন ব্যানার্জী রোডের কাছে এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আন্দোলনকারীদের। তারপরেও মিছিল এগিয়ে যান আন্দোলনকারীরা।

Advertisement

মিছিল থেকে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা চিৎকার করে পুলিশের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘আন্দোলন কাকে বলে দেখিয়ে দেব।’ চাকরিপ্রার্থীদের আটকানোর চেষ্টা করলেও হিমশিম খেয়ে যায় পুলিশকর্মীরা। এরপর ধর্মতলায় গিয়ে বিক্ষোভে বসেন নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, কেন পূর্ণ নম্বর পেয়েও ইন্টারভিউর সুযোগ পাবেন না তাঁরা। চাকরিহারাদের দেওয়া অতিরক্ত ১০ নম্বর বাতিল করার দাবি জানান তাঁরা।

শূন্যপদের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি ১ লক্ষ অতিরিক্ত শূন্যপদ বাড়ানোর দাবি তোলেন তাঁরা। ধর্মতলা থেকে এই চাকরিপ্রার্থীদের তুলতে পুলিশবাহিনী তৎপর হয় ওঠে। কিন্তু সেখান থেকে তাঁদের তুলতে গেলে বাধে আরও এক সংঘর্ষ। চাকরিপ্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। ধুন্দুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ধর্মতলা চত্বর। বেশ কিছুক্ষন পরে চাকরিপ্রার্থীদের চ্যাংদোলা করে তুলে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।

এদিন আন্দোলনরত এক পরীক্ষার্থী শিশিরকুমার দাস বলেন, ‘আমরা আদালতের পথ ধরেছি ঠিকই, কিন্তু রায় আসতে দেরি হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। তখন বিচার পেলেও কোনও লাভ থাকবে না। তাই অধিকার বাঁচাতে রাস্তাই আমাদের ভরসা।’ তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি ‘এবার দেখাব, আন্দোলন কীভাবে লড়া হয়। হকের চাকরি কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেব না।’ আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে। আন্দোলনকারীদের উপর মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে সোমবার নতুন চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ধর্মতলা চত্বর।

Advertisement