• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্তি পেলেন অন্তঃসত্ত্বা সোনালি সহ ৬ জন

এদিন আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হক সোনালিদের জামিন মঞ্জুর করেন। তারপরে সন্ধ্যা নাগাদ তাঁদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়

 দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে বাংলাদেশের জেলে বন্দি বীরভূমের বধূ সোনালি খাতুনের জামিন মঞ্জুর করেছে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সোনালির পাশাপাশি জেলবন্দি বাকি পাঁচজনেরও জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। এদিন আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হক সোনালিদের জামিন মঞ্জুর করেন। তারপরে সন্ধ্যা নাগাদ তাঁদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
অবৈধ অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে বাংলাদেশের জেলে বন্দি সোনালি সহ ৬ জন। বাংলাদেশের আদালত চলতি বছরের অক্টোবর মাসে জানায়, সোনালিরা ভারতের নাগরিক। বৃহস্পতিবার সোনালিদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় চার্জ গঠন হয়। ৬ জনের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। আদালতের পর্যবেক্ষণ, অনুপ্রবেশ করে অপরাধ করেছেন সোনালিরা। কিন্তু সোনালি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় এবং তাঁর সঙ্গে আর এক মহিলা ও ৩ নাবালক থাকায় মানবিকতার খাতিরে জামিন মঞ্জুর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত জুন মাসে দিল্লিতে কর্মরত বীরভূমের পাইকর থানা এলাকার বাসিন্দা সোনালি বিবি ও সুইটি বিবি সহ ৬ জনকে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। তারপর তাঁদের অসম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ২০ আগস্ট অনুপ্রবেশকারী হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর মডেল থানার পুলিশ। সোনালিদের বাংলাদেশে পাঠানোর বিরুদ্ধে মামলা করেন সোনালির বাবা ভাদু শেখ। এই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, অন্তঃসত্ত্বা সোনালি সহ বাংলাদেশে পাঠানো ৬ জনকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে ভারতে ফিরিয়ে আনতে হবে।
হাইকোর্টের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করেছে সোনালি ও সুইটির পরিবার। অন্যদিকে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালত ১০ অক্টোবর সোনালিদের ভারতীয় বলে উল্লেখ করে। তাঁদের ভারতে ফেরানোর জন্য ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি জানায় আদালত। কিন্তু ভারত সরকারের তরফে সোনালিদের ফেরাতে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সোনালিদের জামিন মঞ্জুর হওয়ায় খুশি তাঁর বাবা-মা। তাঁদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় রয়েছে। তাই তাঁদের পাশাপাশি সোনালিও যে ভারতের নাগরিক সেই বিষয়ে কোনও বিতর্ক নেই। কিন্তু তার পরেও কেন তাঁর মেয়েকে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হল সেই প্রশ্ন তুলেছেন ভদু শেখ ও তাঁর স্ত্রী। তবে বাংলাদেশের জেল থেকে মেয়ে মুক্তি পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে তাঁরা। এবার কত দ্রুত মেয়ে দেশে ফিরবেন সেই অপেক্ষায় পরিবার। তাঁরা চান, অন্তঃসত্ত্বা সোনালি ভারতেই সন্তান প্রসব করুক।

Advertisement

Advertisement