ধরনা দিয়ে অবশেষে প্রেমের জয়

মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের পলিটেকনিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জয়ন্তী মজুমদার আরামবাগের পিলখা গ্রামের প্রীতম চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন।

Written by SNS Arambagh | July 10, 2019 4:28 pm

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

ঘটনাটির সূত্রপাত গত রবিবার। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের পলিটেকনিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জয়ন্তী মজুমদার আরামবাগের পিলখা গ্রামের প্রীতম চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন।

অভিযােগ, প্রতীম তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন মেলামেশার পর এখন আর সম্পর্ক রাখতে চাইছে না। এদিকে প্রীতমের বাবা তথা এলাকার তৃণমূল নেতা অলােক চক্রবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গা ঢাকা দিয়েছেন।

কিছুদিন আগে তিনিও জয়ন্তীকে ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে নিষেধ করেন। এই পরিবার ও ছেলেটি তাঁর সঙ্গে যােগাযােগ ছিন্ন করে। জয়ন্তী মরিয়া হয়ে প্রেমিকের ঘরের সামনে টানা দু’দিন ধরনা দিয়েছেন। আরামবাগের এসডিপিও নির্মল কুমার দাসের হস্তক্ষেপে প্রীতমকে খুঁজে আনা হয়। পরিশেষে প্রেমিকার দাবি পূরণ সম্ভব হয়েছে। 

জয়ন্তীর অভিযােগ, প্রায় তিন বছর আগে ফেসবুকে প্রীতমের সঙ্গে তাঁর আলাপ। তারপর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রীতমের চেষ্টাতেই জয়ন্তী বাঁকুড়ায় একটি পলিটেকনিক কলেজে পড়তে শুরু করেন। প্রীতমও সেখানকার সিনিয়র ছাত্র ছিলেন।

বহুবার তাঁরা দীঘা, মন্দারমণি ইত্যাদি জায়গায় গেছে। মালদায় জয়ন্তীর বাড়িতেও দিনের পর দিন কাটিয়েছেন প্রীতম। তাঁদের নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কও ছিল। বিয়েতে উভয় পরিবারের সম্মতিও ছিল।

গত ১৭ মে ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে বিয়ের নােটিশও দেওয়া হয়। এরপর ঘটনা অন্যদিকে মােড় নেয়। প্রীতম পড়াশােনা শেষ করে বাড়ি ফিরে জয়ন্তীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।

এসডিপিও নির্মল কুমার দাসের হস্তক্ষেপে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়। জানা গিয়েছে, উভয় পক্ষই বিয়েতে সম্মতি জানিয়েছে। কিন্তু ছেলেটির বয়স ২১ বছর না হওয়ায় এখনই বিয়ে সম্ভব হচ্ছে না। এর জন্য তাঁদের একমাস অপেক্ষা করতে হবে।