অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ির জমি বিতর্কে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দুপুরে বাংলা অ্যাকাডেমির বাইরে বিজেপি সরকারকে তুলােধনা করে ক্ষোভ উগরে দেন বাংলার বিদ্বজনেরা। রাজ্যমন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য তথা নাট্যকার ব্রাত্য বসুর আহ্বানে এদিন অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়াতে হাজির হয়েছিলেন গায়ক কবীর সুমন, কবি জয় গােস্বামী, সুবােধ সরকার, চিত্রশিল্পী যােগেন চৌধুরীর মতাে বিশিষ্ট মানুষজন।
সম্প্রতি বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি ‘প্রতীচি সংলগ্ন’ জমির একাংশ তাদের বলে দাবি করে। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন। নােবেল জয়ীকে সম্মান করা হচ্ছে না বলেও তিনি অভিযােগ করেন।
Advertisement
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই সুর মিলিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, কেন অমর্ত্য সেনকে এরমকভাবে অসম্মান করা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ বলা হচ্ছে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের। কোনও কিছু না জেনে রাজনীতি করছে বিজেপি। নােবেল জয়ীকে তাঁর ভিটে থেকে উৎখাত করতে চাইছে বিজেপি, এর চেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রতিবাদ করেছেন আমরাও আজকে এসেছি এই ঘটনার বিরুদ্ধে জনমত জাগ্রত করতে।
Advertisement
অসুস্থতা সঙ্গে নিয়েই প্রতিবাদ সভায় এসেছিলেন গায়ক কবীর সুমন। তিনি এদিন বলেন, যেটা ঘটছে তা রাজনৈতিক বিষয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতে হবে। উনি যা কাজ করেছেন তা ভাবা যায় না। মানুষ দু টাকা কেজি চাল পেয়েছে। আপনারা কি আশা করেছিলেন ওরা ভালােভালাে কথা বলবেন? এভাবেই এদিন বক্তব্য রেখেছেন কবীর সুমন।
জয় গােস্বামী বলেন বিশ্বভারতী রবীন্দ্রনাথের নােবেল পুরস্কারকে রক্ষা করতে পারেনি। দোষীরা আজও ধরা পড়ল না। আর একজন নােবেল সম্মান প্রাপক অমর্ত্য সেনকেও প্রাপ্ত সম্মান দিচ্ছে না।
এদিনের প্রতিবাদ সভায় চিত্র শিল্পী শুভাপ্রসন্নকে দেখা গিয়েছে। যারা বীন্দ্রনাথকে বােঝেন না অমর্ত্য সেনের মতাে মানুষদের অপমান করে তারা আসলে বাংলার কিছুই জানেন না সে কারণেই পথে নামা, এমনই মন্তব্য শুভাপ্রসন্নর।
বুদ্ধিজীবীদের পথে নামা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘােষ বলেন, ‘অমর্ত্য সেন নয়, তৃণমূল বাঁচাও অভিযান শুরু হয়েছে। তৃণমূল এমন একটা দল যখন বিপদে পড়ে তখন শিল্পীদেরকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করে। আমি শিল্পীদেরকে অনুরােধ করছি দয়া করে যে জাহাজটা ডুবে যাচ্ছে তাতে উঠবেন না। তাহলে তাদের সঙ্গে আপনাদেরকেও ডুবতে হবে। একবার সিপিএমের সঙ্গে ডুবেছেন কোনওভাবে ডাঙায় এসেছেন দিদির আঁচল ধরে। এই ভুল আর করবেন না। কারণ তৃণমূল এখন ডুবন্ত জাহাজ।
Advertisement



