রবিবার বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে কলকাতা সহ পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশ। ভরদুপুরে ঘনিয়ে আসবে অন্ধকার। চাঁদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে যাবে সূর্য। তবে সুর্যকে পুরোপুরি ঢাকতে ব্যর্থ হবে চাঁদ। আকাশে দেখা যাবে অপরূপ উজ্জ্বল এক বলয়, যাকে বৈজ্ঞানিকরা রিং অফ ফায়ার বলছেন।
সূত্রের খবর, ২১ জুন সকাল ১০ টা ৪৬ মিনিটে কলকাতায় গ্রহণ শুরু হবে। গ্রহণ সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে ১২ টা ৩৫ মিনিটে এবং শেষ হবে ২ টা ১৭ মিনিটে। শুধু ভারত নয়, চীন-পাকিস্তান, কঙ্গো, ইথিওপিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বহু জায়গা থেকে দেখা যাবে এই গ্রহণ। ভারতে সূর্য গ্রহণ শুরু হবে রবিবার সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটে, ১২ টা ১০ মিনিটে তার সর্বোচ্চ হবে এবং ৩ টা চার মিনিটে তা শেষ হবে।
Advertisement
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এই সুর্য গ্রহণের পাঁচ মাস পর ডিসেম্বর মাসের ১৪ থেকে ১৫ তারিখে ফের ভারতে সুর্য গ্রহণ হবে। সূর্যগ্ৰহণ চলাকালীন সরাসরি আকাশের দিকে তাকালে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে চোখ। সেক্ষেত্রে আই গ্লাস প্রটেক্টর, বাইনোকুলার, টেলিস্কোপ-এর সাহায্যে সূর্য গ্রহণ দেখা সুরক্ষিত বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
Advertisement
রবিবার পৃথিবী থেকে দেখা যাবে বলয়গ্রাস সূর্য গ্রহণ। এই সূর্য গ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করবে, এমনটাই জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। সেই কারণে সূর্যকে পুরোপুরি ঢাকতে ব্যর্থ হবে চাঁদ। পরিবর্তে সূর্যের উপরে চাঁদের এমনভাবে ছায়া পড়বে যাতে এক জ্বলন্ত ছোট মাপের ঢাকনার মতো দেখতে লাগে। সূর্যকে কেন্দ্র করে তৈরি হবে অপূর্ব এক আগুনের বলয়। একেই ‘রিং অফ ফায়ার’ বলা হয়।
বিড়লা তারামণ্ডলের অধিকর্তা ডক্টর দেবী প্রসাদ দুয়ারি জানান, ব্যাঙ্গালোর, দিল্লি, মুম্বাই থেকেও এই সূর্য গ্রহণ দেখা যাবে। তবে সূর্য গ্রহণের সময় ভৌগলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করবে।
এদিকে এই সূর্য গ্রহণকে কেন্দ্র করে একাধিক জল্পনা ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। অনেকে বলছে সূর্য গ্রহণের পরই নাকি করোনা মুক্ত হবে বিশ্ব। অনেকে আবার দাবি তুলছে পৃথিবী ধ্বংসের সঙ্গে এই সূর্য গ্রহণের যোগ রয়েছে।
যদিও এ সমস্ত তথ্য খারিজ করেছেন বৈজ্ঞানিকরা। তাঁদের যুক্তিতে, সূর্য গ্রহণ সম্পূর্ণভাবে একটি বৈজ্ঞানিক ঘটনা। যার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। এইসব যাবতীয় জল্পনা কুসংস্কার এবং করোনা মুক্তির সঙ্গে সূর্য গ্রহণের কোনো যোগ নেই বলে জানিয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা।
Advertisement



