রাস্তাতেই গাড়ি থেকেই চুরি হয়ে যাচ্ছিল ফ্লিপকার্টের সামগ্রী। কখনও চুরি হচ্ছিল ফোন, কখনও চুরি হয়ে যাচ্ছিল ল্যাপটপ। চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল ফ্লিপকার্ট কর্তৃপক্ষ। অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয় সংস্থাটি। লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। তদন্তে নেমে বিহার থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হরিণঘাটা থানার পুলিশ আধিকারিকদের চেষ্টায় মিলেছে এই সাফল্য।
এই প্রসঙ্গে রানাঘাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ ধাপোলা বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে বিহার থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের নাম – সঞ্জিত প্রসাদ, অঙ্কিত কুমার সিং ও মহম্মদ সিরাজ। তাঁরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। প্রায় ১০০ টি মোবাইল চুরি হয়েছিল। এর মধ্যে ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭টি মোবাইল, একটি ট্যাব ও একটি ল্যাপটপ। বাকি চুরি যাওয়া মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। রাস্তার মাঝেই গাড়ি থেকেই সামগ্রী চুরি হয়ে যাচ্ছিল। গাড়ির চালকের মদতেই চলত এই চুরি।’
Advertisement
অন্যদিকে আরও দুটি চুরির কিনারা করেছে হরিণঘাটা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। সিদ্ধার্থ ধাপোলা বলেন, ‘একটি সোনার গয়না চুরির ঘটনার কিনারা করা হয়েছে। থানায় কোনও অভিযোগ ছিল না। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হরিণঘাটার মোহনপুরের পাঁচপোতা এলাকায় মসলিন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে চুরি যাওয়া একটি রুপোর চেন, ২০ গ্রাম সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে। বাকি কিছু গয়না ধৃত বিক্রি করেছে। সেগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বেলঘড়িয়া থেকে এই গয়না চুরি করা হয়েছিল। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’ সিদ্ধার্থ ধাপোলা আরও বলেন, ‘হরিণঘাটা ডেয়ারি ফার্ম থেকে পাম্প মেশিন চুরির অভিযোগ হয়েছিল। সেই চুরির তদন্তে নেমে পুলিশ জ্যোতিময় মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।’
Advertisement
Advertisement



