• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

‘পুলিশ ২৪ ঘণ্টায় করেছে, মোদির সিবিআই একবছরেও পারল না’, আর জি কর ইস্যুতে ক্ষোভে ফুঁসলেন অভিষেক

মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তিতে মাল্যদান করার পর মঞ্চে উঠে অভিষেক বলেন, ‘গত বছর এই সময় রাজ্য উত্তাল হয়েছিল আর জি কর ইস্যুতে।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মেয়ো রোডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে ফের কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জি কর চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন মামলা নিয়ে সরব হয়ে তিনি দাবি করলেন, রাজ্য পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপই প্রমাণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অপরাধ দমনে কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে কেন্দ্রীয় সংস্থা এখনও পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।

মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তিতে মাল্যদান করার পর মঞ্চে উঠে অভিষেক বলেন, ‘গত বছর এই সময় রাজ্য উত্তাল হয়েছিল আর জি কর ইস্যুতে। আমি তখনই বলেছিলাম, যাঁরা রাত দখলের লড়াই করেছেন সেই নারীদের সম্মান জানাই। কিন্তু একথাও বলব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ যেটা ২৪ ঘণ্টায় করেছে, মোদির সিবিআই একবছরেও তা করতে পারেনি।’

Advertisement

অপরাজিতা বিল বিধানসভায় পাস হলেও এখনও তা আইনে পরিণত না হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘যাঁরা রাত দখল করেছিলেন, তাঁদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ঘটনার প্রতিবাদ নয়, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেওয়া। সিপিএম তখন কোথায় ছিল? যাঁরা বিল আটকে রাখল, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হলো না কেন? রাস্তায় নামা হলো না কেন?’

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্তব্যরত এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা বাংলা। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের কার্যক্রমের ওপরই ভরসা রাখে সিবিআই। কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় কেটে গেলেও এই মামলায় নতুন কোনও গ্রেপ্তার হয়নি।

অবশ্য আদালতে সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই সাজায় ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার এবং সাধারণ মানুষের একাংশ মনে করছে, আসল চক্রীদের আড়াল করা হয়েছে।অভিষেকের বক্তব্য, ‘এখনও মূল চক্রীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আমরা চাই দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হোক। রাজ্যের মানুষও এই ন্যায়ের অপেক্ষায় আছে।’

রাজনৈতিক মহলের মতে, অভিষেকের এই আক্রমণ সরাসরি বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে তৃণমূলের জনমুখী লড়াইয়ের অংশ, যেখানে রাজ্য পুলিশের সাফল্যকে সামনে রেখে বিরোধীদের ব্যর্থতা তুলে ধরা হচ্ছে।

Advertisement