লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে হাওড়ায় আক্রান্ত পুলিশ, ভাঙচুর করা হল দুটি গাড়ি

লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার কনটেনমেন্ট জোনে জনতার সঙ্গে পুলিশের যুদ্ধ দেখা গেল।

Written by SNS Kolkata | April 29, 2020 7:05 pm

প্রতিকি ছবি (File Photo: AFP)

লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার কনটেনমেন্ট জোনে জনতার সঙ্গে পুলিশের যুদ্ধ দেখা গেল। মঙ্গলবার কনটেনমেন্ট জোন বেলিলিয়াস রোডে রাস্তায় নামা জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল পুলিশকে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের দুটি গাড়ি। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৬ জন। তবে এই গ্রেফতারি আরও বাড়বে।

এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ বাজারে ফল কেনা নিয়ে বেশ কয়েকজন লোককে জমায়েত করতে দেখে পুলিশ। স্বাভাবিকভাবে লকডাউন চলছে পুলিশ লাঠি উচিয়ে যায় জনতার দিকে। কিন্তু যুবকরা সরে না গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। পরে তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়।

আচমকাই লকডাউন উপেক্ষা করে বহু মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসে পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং মারমুখীও হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ সাময়িকভাবে পিছু হটতে থাকে। তখনই পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয়ে যায় ইট ও বোতল ছোঁড়া। দুই পুলিশকর্মী আহত হওয়ার পর পুলিশ সেখান থেকে দ্রুত সরে যায়।

খবর যায় স্থানীয় থানায়। স্থানীয় ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনাস্থলে হাজির হয় র‍্যাফ। এরপর র‍্যাফকেও তাড়া করে জনতা। হাওড়া ও ব্যাটরা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে এলাকা ফাঁকা করে দেয়। পরিস্থিতি থমথমে। চলছে পুলিশি টহল। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এধরনের ঘটনা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা যেমন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, ঠিক একইভাবে পুলিশকর্মীরা তাদের স্ত্রী-সন্তান-পরিবারকে ছেড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় রয়েছে আমাদের কথা ভেবে। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তারা কাজ করছে। দরকার হলে ওষুধ পৌছে দিচ্ছে। লকডাউন যাতে মানুষ না ভাঙেন তার জন্য মানুষকে সচেতন করছে বিভিন্ন ভাবে। আর এটা করতে গিয়ে যদি পুলিশকে আক্রান্ত হতে হয়, এর থেকে লজ্জা ও ঘৃণার কিছু হতে পারে না।

প্রশাসনকে বলেছি কঠোরভাবে বিষয়টি দেখার জন্য। ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় তার জন্য দলীয়ভাবেও দেখা হবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলা হবে। এটা কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। যতদূর জানা গিয়েছে, লকডাউনের সময় প্রচুর মানুষ বেরিয়ে এসেছিলেন। পুলিশকর্মীরা তাদের সরানোর চেষ্টা করছিল। এর মধ্যেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।