ঠাকুরবাড়ির রমরমার দিন শুরু হয়েছিল দ্বারকানাথের হাতে। দ্বারকানাথ একদিকে যেমন জ্ঞানী, গুণী, আভিজাত্যময় শিল্পীমনের পুরুষ, তেমনই অন্যদিকে ছিলেন প্রকৃত ব্যবসাদার মানুষ। ব্যবসার জন্যই সাহেব-সুবােকে ডেকে বাড়িতে মজলিশ বসাতেন। বিশাল জমিদারি সামলানাের পাশাপাশি পাট, চিনি, আফিম, নীলের ব্যবসা বা জাহাজের ব্যবসা কি ছিল না তাঁর, তেমনই তাঁর চায়ের ব্যবসাও ছিল।
আজ রাজ্যে পঞ্চম দফায় ভােট। ৭টি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে ভােটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মােড়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিকে।
ফণী মােকাবিলায় রাজ্য সরকারের তৎপরতাকে নির্বাচনী প্রচারের হাতিয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রচারে ঝাপিয়ে পড়লেন। শনিবার আরামবাগ লােকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চন্দ্রকোণা বিধানসভা কেন্দ্রের চন্দ্রকোণা টাউনের গাছশীতলা থেকে জয়ন্তীপুর পর্যন্ত পদযাত্রা করে আরামবাগ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অপরূপা পােদ্দারের সমর্থনে প্রচার করেন।
এই কয়েকটা দিন রাজনীতি ভুলে ফণী মােকাবিলায় সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ধেয়ে আসছে ফণী। পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলবর্তী রাজ্যণ্ডলির পাশাপাশি বিপর্যয় মােকাবিলায় প্রতিরােধে প্রস্তুত পশ্চিমবঙ্গও। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য অংশের সঙ্গেই সঙ্কট মােকাবিলায় প্রাথমিক পর্বের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছ কলকাতা পুলিশও।
আপাতত রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনের সিম্ফনিতে ছন্দপতন ঘটালাে 'ফণী'। এই ঝড়ের দাপটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী সফরের সময়সূচিতে ঘটল পরিবর্তন। ফণী ঝড়ের তাণ্ডব ঠেকানাের প্রস্তুতি নিতে নবান্নে দু'দফায় বৈঠক হল বৃহস্পতিবার। পুলিশ-প্রশাসন-পুরসভা সকলকেই তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফণীর ছােবল সামলাতে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর মােকাবিলায় কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিশেখ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের সব কর্মী এবং আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিমানবন্দরে কর্তব্যরত সকল সংস্থার আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠিত হয়েছে। ঘূণিঝড় ফণীকে সব দিক থেকে মােকাবিলা করতে এই কমিটি বিশেষ পদক্ষেপ নেবে বলে জানা গিয়েছে।
দ্বিগুণ শক্তি বাড়িয়ে বাংলায় আছড়ে পড়তে চলেছে ফণী। বাংলা সহ চার রাজ্য সরকারকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। চার দফার নির্বাচন শেষ। সােমবার হতে চলেছে পঞ্চম দফার নির্বাচন। পঞ্চম দফায় মােট সাতটি কেন্দ্রে নির্বাচন হবে। আর এই পরিস্থিতিতে ফণী নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের কপালে।