সিঁথির স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সোনা লুটের ঘটনায় কর্ণাটক থেকে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। বহুদিন ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। লুটের ঘটনার পরেই তিনি রাজ্য ছেড়ে কর্ণাটকে গিয়ে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে একটি বিশেষ দলকে কর্ণাটকে পাঠায় কলকাতা পুলিশ। এরপর সেখানকার স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে আনা হয় কলকাতায়।
ধৃতের নাম মাসুমবাবু মল্লিক। তিনি হুগলির বাসিন্দা। সোনা লুটের ঘটনায় এর আগে সইদুল মণ্ডল নামে হুগলির আর এক বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মাসুমের নাম উঠে আসে। তবে পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার পিছনে একটি সুসংগঠিত চক্র রয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই অন্যান্য অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করা হয়েছে। ধৃত দুই জনের কল ডিটেইল, গত কয়েকমাসের গতিবিধি ও আর্থিক লেনদেনের নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লুট হওয়া সোনা উদ্ধার করার চেষ্টা করছে পুলিশ। হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে সিঁথির স্বর্ণ ব্যবসায়ী সঞ্জিতকুমার দাসের কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের ২ কেজি ৩৮০ গ্রাম সোনা লুট করে পালায় দুষ্কৃতীরা৷ বড়বাজার থেকে সোনার বাট কিনে স্কুটারে করে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন সঞ্জিত। সিঁথিতে নিজের ওয়ার্কশপের সামনে পৌঁছতেই কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। তদন্তে নেমে প্রথমে সইদুলের হদিশ পায় পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে মাসুমের নাম।
Advertisement