জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির বিরুদ্ধে করা মামলার দ্রুত শুনানিতে ‘না’ কলকাতা হাইকোর্টের। মামলাকারীকে অবকাশকালীন বেঞ্চে যাওয়ার নির্দেশ। তাই আপাতত শুনানি নয়। দুর্গাপুজোর পর হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চেই হবে এই মামলার শুনানি।
বৃহস্পতিবার জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলা করেন এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ডিরেক্টর রাজু ঘোষ। তাঁর দাবি ছিল, সুপ্রিম কোর্ট অনেক আগেই জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই কর্মবিরতি চালিয়ে যান চিকিৎসকরা, যা আদালতের নির্দেশকে লঙ্ঘন করে। ডাক্তারদের কর্মবিরতি জারি রাখা আদালত অবমাননাও বটে।
মামলাকারীর আবেদন ছিল, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তোলার জন্য রাজ্যকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিক হাইকোর্ট। যত দ্রুত সম্ভব কর্মবিরতি প্রত্যাহার নিশ্চিত করা হোক। শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানান মামলাকারীর আইনজীবী। সেই আবেদনই খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, এখনই এই মামলার শুনানি সম্ভব নয়। পুজোর পরে হাই কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ বসলে প্রথমেই এই মামলা শোনা হবে।
এ বিষয়ে মামলাকারীর আইনজীবী তৌসিফ আহমেদ আদালতে জানান, আইনের বাইরে গিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকেরা কর্মবিরতিতে অনড় রয়েছেন। তাঁরা এটা করতে পারেন না। এছাড়াও তিনি জানান, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। বহু রোগী পরিষেবা পাচ্ছেন না। বিনা চিকিৎসায় ইতিমধ্যে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। এর পরেও জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি চালিয়ে গেলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়তে পারে। তাই এই মামলার দ্রুত শুনানির প্রয়োজন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করা হয়েছে।
যদিও শুক্রবারই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ১০ ঘণ্টা জিবি বৈঠকের পর আন্দোলনের ধরন বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আগামী সোমবার থেকে চলবে জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন। অর্থাৎ তিলোত্তমার বিচার না মেলা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেই স্পষ্ট করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।