৫২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারের তালিকা থেকে বাদ বাংলা। ২০২৪ সালের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেলেন না বাংলার কোনও সাহিত্যিক। দিল্লির পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ হতেই শুরু হয়েছে নানান প্রশ্ন। অনেকেই একে দিল্লি এবং বাংলার রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফল বলে মনে করছেন।
তবে বাংলার কোনও সাহিত্যিকের পুরস্কার না পাওয়া প্রসঙ্গে সাহিত্য অকাদেমির সেক্রেটারি কে শ্রীনিবাস রাওয়ের যুক্তি হল, ‘এটা হয়েছে সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল কারণে।’ এবছর বাংলাকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না নিশ্চিত করে তিনি জানিয়েছেন, ‘এটা আমাদের অন্তর্বর্তী টেকনিক্যাল ত্রুটি। একমাত্র টেকনিক্যাল কারণেই এ বছর বাংলায় বাতিল হয়েছে এই পুরস্কার।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘জুরি তৈরি করার পরে, সেখানে ঝাড়াইবাছাই হওয়ার পরে কোনও লেখা নির্বাচন করা না গেলে সেটা ঘোষণা করেই জানানো হয়, যে এবছর অমুক ভাষায় কোনও বই নেই। কিন্তু বাংলার ক্ষেত্রে কোনও জুরি বোর্ড তৈরি না হওয়ায় বই নির্বাচন বা ঝাড়াইবাছাইয়ের কাজ করা যায়নি।’ তবে বাংলার বাদ পড়া প্রসঙ্গে মুখ খুলতে রাজি নন সাহিত্য অকাদেমি বাংলার সঙ্গে জড়িত কেউই।
এবারের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারের তালিকায় স্থান পেয়েছেন মোট ২৩টি ভাষার সাহিত্যিক। দেশের সাহিত্য সম্মানের তালিকায় অকাদেমিকে উচ্চ গোত্রের বলেই মনে করে সাহিত্যমহল। অথচ সেই তালিকায় বাংলার কারুর স্থান না পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। বাংলার সাহিত্যিকদের একাংশ যেমন প্রশ্ন তুলছেন, বাংলা সাহিত্য অকাদেমির নিরপেক্ষতা নিয়েই।
গত দু’দিন ধরে দিল্লিতে সাহিত্য অকাদেমির উৎসব চলছে। সেখানেই গত বছরের সাহিত্যসৃষ্টির নিরিখে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। অনেকের ধারণা ছিল, শেষ মুহূর্তে হলেও সিদ্ধান্ত বদল করবে সাহিত্য অকাদেমি। কিন্তু তা হয়নি।