কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আটকাতে রাজ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থায় নয়া স্বাস্থ্যবিধি জারি করল স্বাস্থ্যভবন। কোভিড রোগীদের চিকিৎসা এতদিন যেভাবে হচ্ছিল, এবার তৃতীয় ঢেউ এবং নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন রুখতে সেই ব্যবস্থায় বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যভবনেরে তরফে নয়া গাইডলাইনে তা বিশদে বলা হয়েছে, সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশি হলে প্যারাসমিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে হবে। ইনহেলার ব্যবহার করা যেতে পারে।
Advertisement
মন্টিয়ার বা মন্টিক ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া যাবে। অসুস্থতা বেশি হলেও স্টেরয়েড প্রয়োগ করা যাবে না। উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের বাড়িতে আইসোলেশনে রাখার পরামর্শ।
Advertisement
অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নয়া স্বাস্থ্যবিধিতে বলা হয়েছে, সব করোনা রোগীকে হাসপাতালে ভরতি নেওয়া যাবে না।
যাঁদের শরীরের তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রি বা তার বেশি, বারবার জ্বর আসছে, পালস রেট কম, তাঁদেরই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে হাসপাতালে ভরতির সুপারিশ করা হয়েছে নতুন গাইডলাইনে। প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বরের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।
শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক আছে কি না, তা বুঝতে হলে ৬ মিনিট টানা হাঁটার পরও কোনওরকম হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট না হলে বুঝতে হবে, সব ঠিক আছে। সামান্য সমস্যা হলে ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে রোগীদের।
অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪-এর নিচে নামলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যেসব করোনা রোগী বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই ইনহেলার এবং প্যারাসিটামল মজুত রাখতে হবে।
সূত্রের খবর, মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি এবং মলনুপিরাভির নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কোনও নির্দেশ আসেনি।
এমনকী কেন্দ্রীয় গাইডলাইনেও এর উল্লেখ নেই। তাই এই দুটি পদ্ধতি করোনার চিকিৎসা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যভবন।
এদিকে, কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী শনিবার থেকে সপ্তাহের শেষ দু’দিন মেট্রোর শেষ ট্রেনের সময় আধঘণ্টা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement



