ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন তথা এসআইআর–এর পর পুরুলিয়ায় ১ লাখ ৬১ হাজার ৯১৫ জন ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক দেবীপ্রসাদ করণম প্রশাসনিক ভবনে জেলাশাসকের কনফারেন্স রুমে সর্বদলীয় বৈঠক করে জানিয়ে দেন কোনও সঠিক ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়বে না।
পুরুলিয়ায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ২১ হাজার ৪৪২। তার মধ্যে ১ লাখ ৬১ হাজার ৯১৫ জন ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ভোটারদের মধ্যে ৮২ হাজার ২১০ জন মৃত ভোটার। স্থায়ীভাবে অন্যত্র সরে গিয়েছেন ৫৯,৮১৬ জন। অন্য জায়গায় নাম রয়েছে ৪,৪২৬ জনের। এছাড়াও অন্যান্যরা রয়েছেন। এদিন কমিশনের পর্যবেক্ষক দেবীপ্রসাদ করণমের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপি জানিয়েছে, ৬১ হাজার ৬০৪ জন যে ‘ফ্রোজেন’ ভোটার রয়েছে তাদের ম্যাপিং হয়েছে বাবা- মা বা দাদু-ঠাকুমাকে সঙ্গে নিয়ে।
এখানে কিছু গরমিল থাকতে পারে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে শ্বশুরকে বাবা বলে দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি যে সব ভোটাররা বংশপরম্পরায় ভারতের নাগরিক অথচ নথিপত্র নেই তাঁদের ক্ষেত্রে যেন কোনও কারচুপি না হয় সেটা দেখার দাবি জানায় বিজেপি। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকা অনুসারে যাদের বয়স ৬০ বছর ছিল তাঁদের নাম এবারের ভোটার তালিকায় থাকলে ফিজিক্যাল স্পট ভেরিফিকেশন করবে কমিশন।
কমিশনের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এনুমারেশন ফর্ম জমা না পড়ার সংখ্যা ১ লাখ ৬১ হাজার ৯১৫। শতাংশের বিচারে ৬.৬৯। এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করেনি ২৮৫ জন। কাশিপুর বিধানসভায় সবচেয়ে বেশি ১০৪ ভোটার ফর্ম সংগ্রহ করেনি। রঘুনাথপুর বিধানসভায় ৩০, পাড়াতে ১০, মানবাজারে ১৩, পুরুলিয়াতে ৪৩, জয়পুরে ৫২, বাঘমুন্ডিতে ২০, বলরামপুরে ৭ ও বান্দোয়ানে ৬ জন ফর্ম সংগ্রহ করেনি। এই জেলাই একেবারে সরাসরি ম্যাপিং হয়েছে অর্থাৎ যাদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে সেই সংখ্যাটি ৯ লাখ ২৩ হাজার ৩৩৫।
Advertisement