নবান্ন অভিযানের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই টোটোতে চেপে কয়েকজন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা নবান্নে পৌঁছান। তারা সেখানে পৌছে শ্লোগান দিতে থাকেন। এমনক দলীয় পতাকা নিয়ে তারা নবান্নে ঢােকার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের আটকালে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় তাদের। শেষ পর্যন্ত তিনজন বাম যুব কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে আবারও দ্বিতীয় দফায় কয়েকজন ফের নবান্নে পৌছালে তাদেরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাম ছাত্র যুব’র তরফে জানানাে হয়েছিল ‘খেলা হবে’ এই শ্লোগান দিয়ে তারা নবান্নে পৌছাবেন এবং দিদির সরকারকে ‘রিলিজ অর্ডার’ দেবেন।
Advertisement
বাম ছাত্র যুব সংগঠনের ডাকা নবান্ন অভিযান ঘিরে কড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থ নেওয়া হয়েছিল নবান্ন সংলগ্ন এলাকাতে। বাম নেতৃত্বের তরফে আগেই জানান হয়েছিল হাওড়া স্টেশনের কাছ থেকে মিছিল করে কলকাতাতে যাওয়া হবে। সেখান থেকে অভিযান হবে। হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে এই বিষয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি।
Advertisement
যদি হাওড়ার দিক থেকে কোনও অভিযান হয় তাহলে পুলিশের তরফ থেকে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছিল। তবু পুলিশি প্রহরার ফাক গলে বেশ কিছু ডিওয়াইএফআই কর্মী সােজা নবান্নের গেটে পৌছে যায়। নবান্নতে জোর করে ঢুকতে গেলে পাঁশকুড়ার সিপিএম বিধায়ক ইব্রাহিম আলি সহ মােট নয় জন ডিআইএফআই কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
পুলিশের সঙ্গে প্রথমে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। ধৃতদের শিবপুর থানায় পরে নিয়ে যাওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের আটকানাের জন্য হাওড়া শহরের ছয়টি জায়গাতে ব্যারিকেট করা হয়। হাওড়া রেল মিউজিয়াম, বাঁশতলা ঘাট, ফরশাের রােড, মল্লিক ফটক, বেতর মােড়, লক্ষ্মীনারায়ন তলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ প্রশাসন ব্যারিকেট করে। অন্যদিকে নবান্ন অভিযান সফল করতে সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল বাম ছাত্র যুব সংগঠনগুলিও।
Advertisement



