প্রতিবারই উৎসবের আগে নিজের সংসদীয় এলাকার মানুষের হাতে পুজোর উপহার তুলে দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। পুজোর আগেই উদ্বোধন হল ‘অভিষেকের দূত’ মোবাইল অ্যাপের। মূলত অসুস্থ এবং বয়স্কদের কথা ভেবেই নির্মিত হল এই অ্যাপ। পুজোর সময় পথে থাকবেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বেচ্ছাসেবকরা। যে সকল বয়স্ক মানুষেরা উৎসবের দিনে বাড়িতেই থাকেন, তাঁরা কোনও বিপদে পড়লেই অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন। এক কথায়, দুয়ারে পৌঁছে যাবেন অভিষেকের দূতেরা।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের লক্ষ্য একটাই, আমজনতার পাশে থেকে উৎসবকে সাফল্যমণ্ডিত করা। পাশাপাশি এই অ্যাপে জানা যাবে, কোথায় কোন মণ্ডপে কেমন ভিড়, কোন রাস্তা দিয়ে গেলে সুবিধা হবে ইত্যাদি। পুজো সংক্রান্ত অনেক তথ্যই মিলবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। গত দুই বছর এই কর্মসূচিতে সাফল্য পাওয়ার পর এবার অ্যাপের মাধ্যমে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছেন তৃণমূলের যুব যোদ্ধারা।
উল্লেখ্য, ‘অভিষেকের দূত’ কর্মসূচি নতুন নয়। গতবছরেও ডায়মন্ড হারবার লোকসভার আড়াই লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছছিলেন এই ‘দূত’। সাংসদের শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে তাঁরা গিয়েছিলেন আমজনতার বাড়ি-বাড়ি। ‘পাশে ছিলাম, পাশে আছি, পাশে থাকব’ বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শুরুর কয়েক বছরে অনুষ্ঠান করে পুজোর উপহার দেওয়া হত। গত বছর থেকে স্থানীয় নেতারাই পৌঁছে যাচ্ছেন বাড়ি-বাড়ি। খোঁজ নিচ্ছেন সকলের। অন্যথা হবে না এবারও। এবার উৎসবের সময় আরও বেশি মানুষের পাশে থাকাই লক্ষ্য ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের। অভিষেকের ভাষায়, ‘কলকাতা আমার জন্মভূমি হলেও, ডায়মন্ড হারবার আমার কর্মভূমি।’ তাই ঘরের ছেলের মত নিজ কর্মভূমির প্রত্যেক বাসিন্দার খোঁজ খবর রাখেন সাংসদ।
পুজোর সময় উপহার বিতরণ থেকে ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ এবং ‘সেবাশ্রয়’র মত প্রকল্প চালু— এভাবেই রাজ্যে ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ গড়েছেন সাংসদ অভিষেক। বহুদিন আগেই তাঁর ডায়মন্ড মডেলে সংযুক্ত হয়েছিল ‘অভিষেকের দূত’। পুজোয় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং উৎসবে আট-আশির অংশগ্রহণকে সুনিশ্চিত করতে এবারও সাংসদের নির্দেশে পথে থাকবেন অভিষেকের দূতেরা।
