বছর ঘুরতেই ২০২৬-এর বিধানসভা ভোট। ইতিমধ্যে রাজ্যের একের পর নির্বাচনে স্পষ্ট, রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের জনসমর্থন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আর সেই মরা গাঙে বান আনতেই বিজেপির এখন একমাত্র ভরসা ‘মোদী টনিক’। সেই লক্ষ্যেই জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে বঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পহেলগাম জঙ্গি হামলা এবং তার প্রত্যাঘাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর এটাই হবে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় বঙ্গ সফর।
সূত্রের খবর, আগামী ১৮ জুলাই রাজ্যে আসছেন মোদি। আসন্ন সেই বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভাস্থল হিসেবে দুর্গাপুরকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। দুর্গাপুরের মাঠে তাঁর সভা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় নেতৃত্ব। এখন রাজ্য বিজেপির তরফে চূড়ান্ত সিলমোহরের অপেক্ষা। শেষ মুহূর্তে বড় কোনও বদল না ঘটলে দুর্গাপুরেই সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
Advertisement
প্রসঙ্গত, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের একাধিক জেতা আসন হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। বর্ধমান দুর্গাপুর ও বর্ধমান পূর্ব – দু’টি আসনেই গেরুয়া শিবিরের কোমর ভেঙে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। সেখানে পদ্মের পরিবর্তে ফুটেছে ঘাসফুল। এই দুই লোকসভা আসনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছেন যথাক্রমে কীর্তি আজাদ ও শর্মিলা সরকার। একবার সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতে চাইছে পদ্মশিবির।
Advertisement
যদিও প্রথমে শোনা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী বারাসত, বনগাঁ, বারাকপুর, কলকাতা উত্তর – এই চার সাংগঠনিক জেলা নিয়ে জনসভা করবেন। সভাস্থল হিসেবে আলোচনায় উঠে এসেছিল, দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠের কথা। আবার বারাসতের কোথাও জনসভা হতে পারে, সেই জল্পনাও শোনা যাচ্ছিল। সেইমতো দলের নেতা, কর্মী, সমর্থকরা জোরকদমে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছিলেন। তবে সম্প্রতি দুর্গাপুরের নাম উঠে এসেছে আলোচনায়। আগে এই শিল্পাঞ্চলে পদ্মের ভালো দাপট ছিল। কিন্তু চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ঘাসফুলের ধাক্কায় বিজেপিকে ধরাশায়ী হতে হয়েছে। এখানে দিলীপ ঘোষের মতো দাপুটে নেতাকে প্রার্থী করেও শেষরক্ষা হয়নি। এবার সেই হারানো জমি পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। আর সেজন্য বিজেপির শেষ ‘দাওয়াই’ মোদী। ছাব্বিশের নির্বাচনে সংগঠনকে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর ভোকাল টনিক দিতেই মোদির বঙ্গ আসন্ন সফর।
Advertisement



