ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। বুধবার রাতে কোচবিহারের এম জে এন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ওই ইন্টার্নের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। মৃত্যুর আসল কারণ জানতে ঘটনার তদন্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নামে কিষাণ কুমার। তাঁর বয়স ২৬। তিনি বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা ছিলেন। কিছুদিন পরই তাঁর কোর্স শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বুধবার রাতে মেডিক্যাল কলেজের ৩০৪ নম্বর রুম থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহের পাশ থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। সেই কারণেই যুবকের মৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বুধবারে রাতের খাওয়ার জন্য আসেননি কিষাণ। হস্টেলের ৩০৪ নম্বর রুমে তাঁকে ডাকতে যান বন্ধুরা। কিন্তু ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন তাঁরা। বন্ধুরাই প্রথম দেখেন, সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছেন যুবক। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
সূত্রের খবর, প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণে ওই পড়ুয়া মানসিক অবসাদে ভুগছিল। সেই কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁর মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ওই পড়ুয়ার সহপাঠী বা সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। যুবকের পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে।
কোচবিহারের এম জে এন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল নির্মলকুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কিষাণের বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হয়েছে।’