বুধবারই রাজ্যে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। যা থেকে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বুধবার উত্তর কলকাতার ফুলবাগানে পুরভোটের নির্বাচনী প্রচার করতে গিয়ে ওমিক্রন নিয়ে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বললেন, ওমিক্রন ভয়ঙ্কর নয়। এটি প্রাণহানির আশঙ্কা অনেকটাই কম। কিন্তু খুব বেশি সংক্রামক। তাই আপনারা সকলে সতর্ক থাকুন।
Advertisement
প্রসঙ্গত বুধবারই রাজ্যে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। আবু ধাবি থেকে বিমানে ১০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে হায়দ্রাবাদে নেমেছিল একটি পরিবার। সেখানে সকলের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হয়।
Advertisement
বিদেশ থেকে আসায় জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য লালারস পাঠানো হয়। সেই পরীক্ষায় দেখা যায় মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ওই পরিবারের একজন শিশুর কোভিড পজেটিভ।
প্রশ্ন উঠছে একজন কোভিড পজেটিভ কী করে নিয়ম ভেঙে হায়দ্রাবাদ থেকে বিমানে ওঠার ছাড়পত্র পায়? রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বিষয়টিকে লিখিত আকারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে জানানোর জন্য সুপারিশ করেছেন।
বুধবার ফুলবাগানে নির্বাচনী বক্তৃতা দেওয়ার সময় মুর্শিদাবাদের ওমিক্রন আক্রান্ত ওই শিশুটির প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, একজন রোগি বিমানে থাকলে তার সঙ্গে সহযাত্রীরাও আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেন।
তারপর তাঁরা বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিশছেন। তাঁদের থেকে অনেকে সংক্রামিত হয়ে পড়েন। তাই আপনারা সকলে সতর্ক থাকুন। মমতা বলেন, টিকারকরণে বাংলা প্রথম সারিতে রয়েছে। এই রাজ্যে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া মোকাবিলা করা গিয়েছে।
কোভিডও অনেকটাই সামলানো গিয়েছে। এখন ওমিক্রনের সংক্রমণ থেকে সকলে সতর্ক থাকুন। রাজ্যে প্রথম ওমিক্রনের হদিশ মিলল মুর্শিদাবাদে। সাত বছরের এক শিশু এই রোগে আক্রান্ত। তার বাড়ি ফরাক্কা থানার বেনিয়াগ্রামে।
গত ১০ ডিসেম্বর রাতে সে তার পরিবারের সঙ্গে আবুধাবি থেকে ভারতে আসে। আবুধাবি বিমানবন্দর থেকে হায়দরাবাদ হয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে নামে। তবে হায়দরাবাদের বিমানবন্দরেই ওই পরিবারের ওমিক্রনের পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ।
ইতিমধ্যে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে শিশুটি তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি করে ফরাক্কা থেকে কালিয়াচকে যান। ফরাক্কায় বর্তমানে শিশুটির বাবা থাকলেও, শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে মালদার কালিয়াচকে তার মামার বাড়িতে রয়েছে। দুটো জায়গাকেই কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
Advertisement



