নির্বাচনের আগে পরিবার পিছু পাঁচশাে টাকা ‘নির্বাচনী ঘুষ’ হিসাবে দেওয়ার কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বাংলার মানুষের মর্যাদা, সম্মান নিয়ে চিন্তিত নয়। ভিক্ষা দিয়ে মানুষের ভােট কবজা করতে চাইছেন। বাংলার মানুষকে উনি ভিখারী মনে করেন। বেকার যুকদের মাসে পাঁচ হাজার টাকা রােজগারের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন নি। বাঙালিকে কাঞ্জলি করে রাখার রাজনীতি করছেন মমতা।
রবিবার খড়গপুর সদরের কংগ্রেস প্রার্থী রীতা শর্মার সমর্থনে মালঞ্চ সেন চক থেকে খরিদা বড়বাতি অব্দি রােড’শাে করার পর এই মন্তব্য করেন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। আড়ে বহরে ছােট হলেও জাঁকজমকে এই রােড’শাে দেখার জন্য রবিবারের বাজারে মানুষজন নেহাত কম ছিল না।
Advertisement
খড়গপুরের মানুষের কাছে অধীরের আহ্বান, বাংলার অতীতের দিকে তাকান, বর্তমানকে দেখুন ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করুন। অনাহার, দুর্ভিক্ষ, উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়েও বিধানচন্দ্র রায় বাংলা তৈরির কাজে নেমেছিলেন সীমিত আর্থিক সামর্থ্য নিয়ে। খড়গপুর শহরে আইআইটি’র মতাে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেল শহর হিসাবে গড়ে ওঠার পিছনও কংগ্রেস।
Advertisement
অধীর বলেন, কিন্তু দশ বছর সময় পেয়েও বাংলার মানুষের জীবনের মৌলিক পরিবর্তনে ব্যর্থ হয়েছেন মমতা। মানব উন্নয়ন সূচকে সারা দেশের ৩৬ টি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থান ২৮ তম । মাথাপিছু রােজগারে পশ্চিমবঙ্গের স্থান ২৩ তম। বাংলার মেয়েকে বাংলার ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন বাংলার মানুষ। কিন্তু বদলে তারা কি পেলেন? শুধু ধাপ্পা কাটমানি, কয়লা পাচার। গরু পাচার, বালি পাচার সিন্ডিকেটরাজ। গণতান্ত্রিক বাতাবরণ চেয়েছিলেন বাংলার মানুষ কিন্তু পেয়েছেন মাফিয়ারাজ।
অধীরের বিস্ফোরন, মমতা সরকার চালাতে জানেন না। তাই পশ্চিমবঙ্গের দেনা দশ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে চার লক্ষ কোটি টাকায়। অধীরের অভিযােগ, মানুষকে ভােট দেওয়ার মেশিন মনে করেন মমতা। মমতার হুইলচেয়ারে প্রচার প্রসঙ্গে অধীর বলেন একজন খোঁড়া হয়ে ভােট ভিক্ষা করবেন এটা মানায়। যতদিন ভােট না যাবে ততদিন উনি হুইলচেয়ার ছাড়বেন না। মানুষের দয়া, করুণা, সহানুভূতি পাওয়ার জন্য তিনি এটা করছেন।
অধীর বলেন এক্সরে রিপাের্ট, প্রেসক্রিপশন দেখতে চেয়েছিলাম। পাইনি। মুখ্যমন্ত্রীই জানেন ওনার দাম কোথায়? অধীরের আক্ষেপ, মুখ্যমন্ত্রী এত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করলেন কিন্তু জখম হওয়ার পর ১৩০ কিমি পথ পেরিয়ে এসএসকেমে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হল চিকিৎসার জন্য। চাচা জ্ঞান সিং সােহ্নপালকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রােড’শাে শুরু করেন অধীর। খড়গপুরের দশ বছরের বিধায়ক ছিলেন চাচা।
অধীর বলেন, চাচাকে চিরদিন শ্রদ্ধা করে এসেছি। রােড শাে’য় উপস্থিত ছিলেন দেবাশিস ঘােষ, অমল দাস, গৌতম দত্ত, উজ্জ্বল মুখার্জি, অপর্ণা ঘােষ মধু কামী, তিরুপতি ব্যানার্জি প্রমুখ। এদিন সবংয়েও একটি সভা করেন অধীর।
Advertisement



