• facebook
  • twitter
Wednesday, 26 March, 2025

বাজেট বক্তৃতাতেই কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতার

'কেন্দ্র শুধু প্রতিশ্রতি দেয়'

নিজস্ব চিত্র

চন্দ্রিমার বাজেট পেশ করার পর বিধানসভায় একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেই বৈঠকে বাজেটের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণের পাশাপাশি রাজ্য সরকার বর্তমানে কী কী প্রকল্পে কাজ করে চলেছে, এবং সেই খাতে বছরে কত কোটি টাকা খরচ হয়, তার একটি হিসাব তুলে ধরেন রাজ্যবাসীর সামনে। তিনি বিধানসভায় চন্দ্রিমার পেশ করা এবারের বাজেটকে ভালো বাজেট বলে দাবি করেন। সেই সঙ্গে তিনি রাজ্যকে বিভিন্ন প্রকল্পে বঞ্চিত করার জন্য কেন্দ্র সরকারকেও আক্রমণ করেন। কেন্দ্র কীভাবে রাজ্যকে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ প্রদান থেকে বঞ্চিত করে চলেছে, সেবিষয়ও তুলে ধরেন।

এই বঞ্চনা সত্ত্বেও রাজ্য যে এইসব প্রকল্পে মানুষের পাশে রয়েছেন সেবিষয়ও তুলে ধরেন। তিনি রাজ্যের ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলিতে অর্থ প্রদান বন্ধ করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মমতা বলেন, ‘কেন্দ্র আমাদের কিছুই দেয় না। কেন্দ্র শুধু প্রতিশ্রতি দেয়। কিন্তু আমরা বাজেটে যা বলি, কথা রাখি। আমরা কাউকে বঞ্চিত করতে চাই না।’ উদাহরণ স্বরূপ হিসেবে তিনি বলেন, ‘১০০ দিনের কাজ, আবাসের টাকা বন্ধ করেছে কেন্দ্র।’

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী কোন প্রকল্পে রাজ্য সরকার কত টাকা খরচ করে চলেছে, তার একটি সংক্ষিপ্ত হিসাব রাজ্যবাসীর সামনে তুলে ধরেন। মমতা বলেন, ‘আমরা লক্ষ্মীর ভান্ডার দিচ্ছি। লক্ষ্মীর ভান্ডারে খরচ ৫০ হাজার কোটি। ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলার বাড়ির প্রথম কিস্তি টাকা দেওয়া হচ্ছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার নকল করছে অন্য রাজ্য। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে সুবিধা পায় ৯ কোটি মানুষ। এই প্রকল্পে ১২ হাজার কোটি টাকা রাজ্যের খরচ হয়। বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন ৩০ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ। ৪ কোটি ২৭ লক্ষ পড়ুয়াকে শিক্ষাশ্রী দেওয়া হচ্ছে। গঙ্গাসাগর সেতুর জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’

পূর্বেই মমতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যের ‘কন্যাশ্রী’ সহ একাধিক প্রকল্প কেন্দ্রের অনুকরণ করার অভিযোগ তুলেছিলেন। এবার মমতা দাবি করেন, তাঁর সরকারের প্রবর্তিত একাধিক উন্নয়নমুখী প্রকল্প দেশের অন্যান্য রাজ্যের সরকার নকল করছে। যার মধ্যে অন্যতম লক্ষ্মীর ভান্ডার। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার নকল করছে অন্য রাজ্য।’

এদিনের বৈঠকে রাজ্যের কর্মসংস্থানে যে জোর দেওয়া হচ্ছে, সে প্রসঙ্গও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, গত জানুয়ারিতে রাজ্যের বেকারত্ব ৪.১৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে দেওচা পাচামিতে যে ১৩৯৫টি কর্মসংস্থান হয়েছে, সেটিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘কর্মসংস্থানই বাংলার মূল লক্ষ্য।’